কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক,কৈশোর,তরুণ্য এবং প্রাপ্তবয়সে কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং ত্বকে কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং সুরক্ষা পেতে ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা দরকার।কারণ কম বেশি সবাই ব্রণের মত ভাইরাস রোগের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
মাঝে মধ্যে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে এমন ভাবে হয়ে ওঠে যেনো ত্বকে গর্তের সৃষ্টি করে।তাই আজ আর্টিকেল এর মধ্যে কোন ভিটামিনের অভাবে ব্রণ হয়ে থাকে এবং রক্ষা পাওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।এবং আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি।সূচিপত্রঃভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হওয়ার লক্ষণ
- ভুমিকা
- বনের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
- কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
- মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া করণী
- বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার কার্যকারিতা
- শসা দিয়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
- বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
- তৈলাক্ত ত্বক থেকে দাগ এবং গর্ত দূর করার পদ্ধতি
- লেখকের মন্তব্য
ভুমিকা
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং কম বেশি সাধারণত ছেলে,মেয়ে এবং উভয়লিঙ্গ সবার ক্ষেতেই উভয়েই হয়ে থাকে।সাধারণত বেশি একটা দেখা যায় কৈশোর থেকে যৌবনে পা দিলে আপনার ত্বকে ব্রণ দেখা দিবে।তার জন্য ব্রণ প্রতিরোধ করতে এবং সুরক্ষা থাকতে সচেতন থাকতে হবে।যেসব কারণে ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে সে সকল বিষয়গুলো প্রতিরোধ করতে হবে।ভিটামিনের অভাব থাকলে তা পূরণ করতে হবে এবং পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নিতে হবে।তবেই সম্ভব ব্রণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া।
আরো পড়ুনঃছেলেদের মুখে ব্রণ কমানোর উপায়
বনের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
ব্রণ সাধারণত ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় সেই বিষয়ে যথাসময়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা না নিলে ত্বকের ব্রণের দাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার দেখা দিতে পারে (যেমন ত্বকের মধ্যে গর্ত সৃষ্টি হতে পারে)।অধিকাংশ মানুষের ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ দেখা দিয়ে থাকে।আবার কারো কারো ত্বকে দু একটা ছোট আকৃতির বের হয়ে থাকে।
ত্বক থেকে ব্রণ এবং গর্ত বা দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে সে গুলো জেনে আপনি বাড়ি থেকে ঘরে বসেই আপনি আপনার ত্বকের দাগ,ব্রণ এবং গর্ত দূর করতে পারবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
প্রায় অধিকাংশ মানুষের একটি প্রশ্ন কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়।ত্বক থেকে ব্রণ কেনো বের হয়?কিভাবে ব্রণ থেকে রক্ষা বা প্রতিরোধ করা যায়। সাধারণত সারাক্ষণ যেন এই চিন্তা ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকে।এখন চলুন যেনে নেই কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বকের মধ্যে ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আমাদের নিজেদের অবহেলার কারণে এবং সঠিক ভাবে পরিচর্চা না করার ফলে অধিকাংশ সময় ব্রণ দেখা দিয়ে থাকে।কৈশোর কাল থেকে যৌবন কালে পা দেওয়ার সময় হরমোন সৃষ্টি থাকে।এই হরমোন সুষ্টি হবার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশের পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং হরমোন পরিবর্তনের ফলে ত্বকে ব্রণ দেখা দিতে পারে।তবে ব্রণ থেকে সুরক্ষা পেতে সকল সময় সতর্ক থাকতে হবে।এবং শরীরের মধ্যে যেনো কোনো ভিটামিনের অভাব না দেখা যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
ত্বক,উজ্জল,চকচকে,কমল এবং মসৃণ রাখতে ভূমিকা পালন করে।তাই অনেকে ত্বক থেকে ব্রণ প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ব্যবহার করে থাকেন।যে সকল ভিটামিন শরীর সুস্থ্য এবং ত্বক থেকে ব্রণ,দাগ,গর্ত প্রতিরোধ করতে পারে সেই সকল ভিটামিন বেশি বেশি ব্যবহার এবং খেতে হবে।যেমন ভিটামিন এ,বি থ্রী,ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং মুখের ত্বকের মসৃণ ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভিটামিন এঃ দীর্ঘদিন যাবত ত্বকে ব্রণ দেখা দিলে তা দুর করতে ভিটামিন এ কার্যকারী খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ত্বক থেকে ব্রণ প্রতিরোধ করতে এবং ত্বকে আটকে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে ভিটামিন এ সাহায্য করে।ত্বকের মধ্যে অতিরিক্ত ময়লা জমে থাকার কারণে মুখের ত্বকে ব্রণ বের হয়ে থাকে।ব্রণের প্রভাবে দাগ এবং গর্ত দূর করতে অথবা রোটিন ঈদ ক্লোজিং বাড়ানোর জন্য সহায়তা করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃসকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
ভিটামিন বি-৩ঃ ভিটামিন বি থ্রী সাধারণত ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধের জন্য উপকারী।মুখ এবং ত্বক দুটোকেই ব্রণ থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
জিংকঃ যাদের ত্বকে জিংক যুক্ত রয়েছে বিশেষ করে তাদের ত্বকে অধিক মাত্রায় ব্রণ দেখা যায়।তাই ব্রণ থেকে রক্ষা পেতে এবং প্রতিরোধ করতে জিংকের পরিমাণ স্বল্পতা কমাতে হবে।ব্রণ কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ জিংক ব্যবহার। তবে এটি প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বমি হতে পারে আমার পেটের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে (ডায়রিয়া)।তাই জিংক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম এবং পদ্ধতি না জানা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক ব্যবহার করা উচিত।
ভিটামিন সিঃ ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে ভিটামিন সি এর ব্যবহার খুবই খুবই জরুরি।এটি ত্বকের ব্রণ ও দাগ দূর করতে এবং দাগ ও গর্ত দূর করতে সাহায্য করেন।
মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং মুখের ত্বক থেকে ছোট ছোট ব্রণ দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।তবে অধিকাংশ মানুষ ই জানতে চায় কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণের সৃষ্টি হয়।ব্রণ প্রতিরোধ করতে ভিটামিন যুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং রূপচর্চা বা ঘরোয়া ভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।প্রথমে বলেছি আমাদের বাহিরে চলাফেরার কারণে মুখের ত্বকে ময়লা খাবার সঠিক সময়ে না খাওয়ার কারণে মুখে ব্রণ বের হয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- পুষ্টি কর খাদ্য খেতে হবে।
- মানসিক চাপ কমাতে হবে।
- পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে।
- রাত জাগা যাবে না।
-
ব্রণের স্থানে হাত দেওয়া যাবে না।হাত দেওয়ার ফলে ব্রণের কোষ অন্য জায়গা ভরে
আরো বেশি ছড়িয়ে পড়েন।
এগুলো মেনে চলার পাশাপাশি আরো কিছু বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।এতে ত্বক অনেক টাই সুরক্ষিত থাকবে।বর্তমানের তুলনায় আগের যুগের মানুষ ঘরোয়া পদ্ধতি বেশি অবলম্বন করতেন।এখন বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বের হবার ফলে কোন ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট (ফেসওয়াশ ও ক্রিম) ব্যবহার করে থাকি যা ঘরোয়া উপায় চেয়ে অধিক পরিমাণে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং ত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
আরো পড়ুনঃঝাপসা ছবি কি ভাবে স্পষ্ট করা যায়
এলোভেড়া জলঃ মুখে ত্বক পরিষ্কার এবং ব্রণ দূর করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা জরুরি।মুখের ত্বক স্ক্রিন পরিষ্কার এবং ত্বকের গভীর অংশ থেকে ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে থাকেন।অ্যালোভেরা জল আপনার ত্বকের ব্রণের স্থানে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিন এতে আপনার ত্বকের ব্রণ আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে।
লেবুর রসঃ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ভিটামিন সি।যা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ এবং ব্রণ কমাতে ও ত্বকের স্কিন পরিষ্কার এবল বৃদ্ধি রাখতে সাহায্য করে।ব্রণ প্রতিরোধ করতে ভিটামিন সি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।লেবুর রস মুখের ত্বকের স্কিনে লাগিয়ে কিছু সময় পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়া ধুয়ে ফেলুন।
বাদামের পেস্টঃ কয়েকটি বাদাম রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেটে পেস্ট করে প্রাণের স্থানে বা উপরে লাগিয়ে রাখুন এতে আস্তে আস্তে কমে যাবে ব্রণ।
কাচা হলুদঃ প্রতিদিন নিয়ম করে কমপক্ষে একবার হলুদ বেটে পেস্ট বানিয়ে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন এতে ব্রণ প্রতিরোধ হবে।
চালের গুঁড়াঃ প্রতিদিন আতপ চাল বেটে সর্বনিম্ন একবার হলেও ব্রণের স্থানে লাগিয়ে রাখুন।এতে ত্বক শুস্ক থাকলে তা চলে যাবে এবং টানটান চলে আসবে।কিছুদিন ব্যবহারের ফলে ব্রণ প্রতিরোধ হবে।
চালের গুড়া এবং নারিকেল তেলঃ তাছাড়া চালের গুড়ার সঙ্গে নারিকেল তেল মিশ্রিত করে ব্রণের স্থানে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।আরো উপায় রয়েছে যেমন বেসন,শসা,ফ্রিজে ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্রণ প্রতিরোধ করতে অনেক সাহায্য করে আপনি এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে পালন করলে আপনার ত্বকের ব্রণ নিরাময় হয়ে যাবে।
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া করণী
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং কালো দাগ ও ব্রণ কমানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন।ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধ করতে আমাদের উপায় গুলো অবলম্বন করা যায়।মুখের কালো দাগ,ব্রণ এবং গর্ত প্রতিরোধ করতে কিছু উপাদান ব্যবহার করুন।
সুলতানি মাটিঃ ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত তেল জমে থাকার কারণে ব্রণ হয়ে থাকে।ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে বা প্রতিরোধ করতে ভালো ফলাফল দেয়।ত্বকের দাগ,ব্রণ,গর্ত দূর করার জন্য সুলতানি মাটি ব্যবহার জরুরী।কোনো সন্দেহ ছাড়াই নিঃসন্দেহে সুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন।সুলতানি মাটি ত্বকে ব্যবহারের ফলে ক্ষতি হবার কোন ভয় নেই।
শসার রস,চালের গুঁড়া ও মধুঃ এই সকল উপাদানগুলো নিঃসন্দেহে ব্রণের স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।মূলত এটি কালো দাগ এবং ব্রণ দুটোই কমাতে সাহায্য করে থাকেন।প্রতিদিন গোসলের আগে সর্বনিম্ন ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এই প্যাক ব্যবহারের ফলে আপনার মুখের সকল ময়লা দুর করে দিবে।
কাচা হলুদ এবং চন্দন গুঁড়াঃ কাচা হলুদ এবং চন্দন গুঁড়া ভালো ভাবে একসাথে মিশ্রিত করে সুন্দর করে একটি পেস্ট বানিয়ে এরপর আপনার ত্বকের কালো দাগ এবং ব্রণের উপরে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় ভালো করে লাগিয়ে পরীক্ষা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কিছুদিন যথা নিয়মে ব্যবহারের ফলে মুখের ত্বকের কালো দাগ এবং ব্রণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।এই উপাদানগুলো সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহারের ফলে ব্রণ এবং দাগ প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী।আপনি যথা সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করে দেখুন আপনি নিজেই প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
চন্দন কাঠ,গোলাপ জল ও লেবুর রসঃ মুখের ত্বক থেকে কালো দাগ প্রতিরোধ করতে এবং ত্বক থেকে।ময়লা দূর করে পরিষ্কার রাখেন।এরপর গোলাপজল ও লেবুর রস একসঙ্গে সুন্দর ভাবে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করে ব্রণ এবং চোখের নিচে জমা কালো দাগের উপরে কিছু সময় রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।কয়েকদিন নিয়ম করে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করে আপনি নিজেই ফল দেখতে পাবেন।
দারিচিনি গুরো ও নারিকেল তেল/গোলাপ জলঃ ত্বক থেকে ব্রণে চুলকানি ও ব্যথা কমাতে এবং শুষ্ক ব্রণকে শুকিয়ে ফেলতে দারিচিনি গুরো এবং নারিকেল তেল অথবা গোলাপ জল একসঙ্গে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি বানিয়ে ব্রণ বা সম্পূর্ণ মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং পেস্ট টি শুকিয়ে গেলে সুন্দর ভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট সময় ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখবেন।
ডিমের সাদা অংশঃ ত্বক উজ্জ্বল এবং কোমল রাখতে ডিমের সাদা অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী।ত্বক থেকে ভাব দূর করে এবং ডিমের মধ্যে থাকা সকল উপাদান বা ভিটামিন ত্বকের অংশ পেয়ে থাকে।ফলে মুখের ত্বকে ব্রণ ও কালো দাগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা পালন করেন।
পেঁপেঃমুখের ত্বক থেকে ব্রর্ণ এবং কালো দাগ প্রতিরোধ করতে পেঁপের থেপলে করে কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট ত্বকের উপর বা ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নিম পাতাঃ ব্রণ ও কালো দাগ প্রতিরোধ করতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী।ব্রণ পেকে ত্বকের মধ্যে পূজ তৈরি করতে পারেন।ফলে ত্বকে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে নিম পাতা যথাসময়ে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে ইনফেকশন দূর করা সম্ভব।এবং ব্রণ বা কালো দাগ দ্রুর্ত সময়ে সাড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করেন।
- এছাড়াও ত্বকের কালো দাগ ও ব্রণ প্রতিরোধ করার আরো কিছু ঘরোয়া করনীয় জেনে নিন।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাবেন (৮-১০ গ্লাস)
- প্রতিদিন খাবারের পর ভিটামিন জাতীয় বা পুষ্টিকর জাতীয় ফল খান ফলে ত্বক উজ্জল এবং সতেজ থাকবে।
- বাহিরে কোথাও গিয়ে থাকলে বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ভালো মানের ফেসওয়াশ এবং পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।
- হালকা গরম পানিতে নরম কাপুর ভিজিয়ে শক্ত করে চাপ না দিয়ে আলত করে মুখ মুছে নিতে পারেন।এতে করে ত্বকে জমে থাকা সকল ময়লা দূর হয়ে যাবে।
- ব্রণের স্থানে বা ব্রণের উপরে হাতের নক দিয়ে কখনোই খোটাবেন না এতে ব্রণ ফেটে গিয়ে রক্ত বের হতে পারে সেই রক্ত ত্বকের অন্যান্য স্থানে ভোরে সেখানেু ব্রণ তেরি হওয়া অনেক টাই সম্ভবণা থাকে।
- ব্রণ প্রতিরোধ করতে ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
- অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা না করে টেনশন মুক্ত থাকুন।
- রাত জাগার অভ্যাস পরিত্যাগ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
- পুদিনা পাতা দিয়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
কোন ভিটামিনের অভাবে ব্রণ উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং তার পাশাপাশি ব্রণ দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্রণ প্রতিরোধ করুন।অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় ভিটামিনের অভাব না হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকার প্রভাবে ব্রণ হয়ে থাকে।তাই এই ব্রণ প্রতিরোধ করতে এবং ত্বক উজ্জল এবং মসৃণ রাখতে পুদিনা ব্যবহার করুন।পুদিনা পাতা ত্বক থেকে ব্রণ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা পালন করেন।অল্প সময়ে এবং দ্রুত ভাবে কাজ করে ব্রণ দূর করে।
প্রথমে আপনি ১০ থেকে ১২ টি পুদিনা পাতা মিশ্রিত করে টেবিল রস চামুচ করে এবং তার সাথে এক চামুচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।এবং ব্রণের উপর ভালো ভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পুদিনা পাতা,মূলতানি মাটি,টক দই ও মধুঃ তৈলাক্ত ত্বক প্রতিরোধ করতে এবং সুরক্ষা পেতে পুদিনা ব্যবহার করতে পারেন।পদিনা পাতার রসের সঙ্গে মূলতানি মাটি,টক,দই ও মধু একত্রে মিশ্রিত ঘণ করে পেস্ট তৈরি করে নিন এরপর কিছু সময় মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ ধুয়ে ফেলুন তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে।আর ত্বক থেকে তৈলাক্ত প্রতিরোধ হলে সৃষ্টি হবে না।
বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার কার্যকারিতা
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় বা উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং তার পাশাপাশি ব্রণ দূর করার কিছু ঘরোয়া কার্যকারিতার মাধ্যমে ব্রণ প্রতিরোধ করুন।আর সেই উপাদানের মধ্যে সহজ ও সাধারণভাবে খুব দ্রুত সময়ে বেসন দিয়ে ত্বকের ব্রণ দূর করার কার্যকারিতা জেনে নিন।জেনে নিক ত্বকে বেসন ব্যবহারের কার্যকারিতা এবং বেসন ব্যবহারের ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়।
দ্রুত সময়ে ত্বক থেকে ব্রণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এর সঙ্গে আপনি যদি আরো অন্য কিছু মিশ্রিত ভাবে ব্যবহার করেন যেমন শসা ুও মধুর রস এক সঙ্গে মিশ্রিত করে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকে জমা থাকা লোমকূপ পরিষ্কার হবে এবং ব্রণের প্রভাব আগের তুলনায় অনেক কমে যাবে।আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদানের সঙ্গে মিশ্রিত ভাবে বেসন মুখে ব্যবহার করতে পারেন।যেমন বেসনের সাথে হলুদ,টক দই,লেবুর রস এক সঙ্গে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন।
শসা দিয়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং উৎপন্ন হয় তা জানার পাশাপাশি আপনি আপনার ত্বকের ব্রণ দূর করার পদ্ধতি যেনে নিন।শসার রস সাধারণত ত্বকের মধ্যে লুকিশে থাকা তৈলাক্ত দূর করে।ত্বকে তৈলাক্তের পরিমান না থাকলে মুখে ব্রণ হবার কোনো আকাঙ্খাই থাকে না।এবং ত্বকের কালো দাগ এবং গর্ত সমস্যার প্রতিরোধ করতে শসার ভূমিকা অনেক।
শুধু কালো দাগ নয় শরীরের যে কোনো অংশের বা চোখের নিচে কালো দাগ জমে থাকলে তা দূর করতে সহায়তা করে।শসার সঙ্গে মিশ্রিত ভাবে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের উপাদান (যেমন টমেটোর রস অ্যালোভেরা জল)।
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং তৈরি হয় তা যেনে আপনি আপনার শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করুন।আবার অনেক সময় দেখা যায় ভিটামিনের পরিমাণ পরিপূর্ণ থাকা অবস্থায় ও ব্রণ হয়ে থাকে।কারন তৈলাক্ত তেল,বাহিরে ঘুরাঘুরি,ময়লা,ঘুমের অভাব এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার ফলে ব্রণ হয়ে থাকে।তাই খুব সহজে এবং সাধারণভাবে বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করে নিন।আপনি আপনার ত্বক ভালো মানের ফেসওয়াশ এবং পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিন।
এরপর পরিষ্কার এবং নরম কাপড়ের মধ্যে এক টুকরো বরফ নিন।এবং এটি দিয়ে শক্ত করে চাপ না দিয়ে আলতো এবং নরম করে ব্রণের উপর চাপ দিন এইভাবে প্রতিদিন দুই থেকে তিন মিনিট ম্যাসাস করতে থাকেন।এটা আপনার মুখের ত্বকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভাইরাস এবং জীবাণু বা ময়লা ধ্বংস হবে।আপনি এই উপাদানগুলো যথাসময়ে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করার ফলে দ্রুত সময়ে ত্বক থেকে ব্রণ কমে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বক থেকে দাগ এবং গর্ত দূর করার পদ্ধতি
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং তৈরি হয় তা জানার পাশাপাশি আপনার মুখে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত বা লাগতো ত্বকের ভাব চলে আসে তা থেকে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি জেনে নিন।ত্বকে তেলের ভাব দেখা দিলে তা যথাসময়ে ভালো মানের ফেসওয়াশ বা ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।মুখ পরিষ্কার এবং তৈলাক্ত ভাব না থাকলে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হওয়ার কোনো আকাঙ্খা নেই।
শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলেও ত্বক থেকে তেল ঝরতে পারে তার জন্য পরিমান মতো ভিটামিন জাতীয় এবং পুষ্টিকর জাতীয় ফল প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।অতিরিক্ত চিন্তা ত্যাগ করুন এবং চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন।আপনি উপরের উপাদানগুলো এবং টিপসগুলো যথাসময়ে সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ভাব এবং ব্রণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লেখকের মন্তব্য
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং কি কি বিষয়ের জন্য ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে সে বিষয়ে আমরা ইতো মধ্যে আলোচনা করেছি।ভিটামিনের অভাবে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তার মধ্যে ব্রণ উল্লেখযোগ্য।ব্রণ প্রতিরোধ করতে ভিটামিন ও পুষ্টিকর জাতীয় ফল খাওয়ার পাশাপাশা পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম এবং পানি খাওয়া জরুরি।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেল মনেযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আশা করি বুঝতেই পারছেন আজকের আর্টিকেল কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়।আমাদের আর্টিকেল পরে যদি আপনি উপকিত হয়ে থাকেন তাহলে অন্যদের কাছে সেয়ার এবং ফলো করে রাখবেন।আমরা প্রতিদিন স্বাস্থ্য মূলক আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করে থাকি।
লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url