ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম সে বিষয়ে বস্তারিত জানতে

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে 

যে কোনো জায়গা থেকে বা ঘরে বসে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা তাদের চাহিদা পুরন অনুযায়ি কাজ করে টাকা উপার্জন করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে । আমরা আজকের জুগে সবাই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানি কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এটার মাধ্যমে উপার্জন হালাল হবে নাকি হারাম । 




বিশ্ব জুরে ইন্টারনেট একটি বিশাল জগত। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট দ্বারা সকল কাজ করা হয় । যেমন বাসা খোজ করা,রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার এবং কোনো পোশাক পছন্দ হলে তা আমরা অনলাইন এর মাধ্যমে নিতে পারি। এছাড়াও অফিসিয়াল অনেক কাজ আমরা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করে থাকি। দেশ বা বিদেশের অনেক কম্পানি অফিসিয়াল অনেক কাজ করার জন্য অনলাইনে এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ করে থাকে। সেই কাজ গুলোই ঘরে বসে করা যায়।যেমন ওয়েব সাইট ডিজাইন,গ্রাফিক্স ডিজাইন এছারাও আছে ডিজিটাল মার্কেটিং। শরিয়তের আলোকে কাজের উপর নির্ভর করে ফ্রিল্যান্সিং এর আয় হালাল কি হারাম হবে। হালাল ভাবে উপার্জন করলে পারিশ্রমিক হালাল হবে এবং অবৈধ ভাবে আয় করলে পারিশ্রমিক হারাম হবে। 

সূচিপত্রঃফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে 

 ফ্রিল্যান্সিং হালাল ভাবে আয় করতে কতিপয় নীতিমালাঃ 


1.বৈধ ভাবে আয় করা ইসলামিক কোন থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজটি হালাল (হারাম নয়)। 


ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে বৈধ ভাবে আয় করা অনেক গুরত্বপুর্ন বিষয় । ফ্রিল্যান্সিং হারাম নাকি হালাল এটা নির্ভর করে কাজের পদ্ধতি এবং প্রকৃতর উপর। হালাল চেনার আগে যদি আমরা হারাম চিনতে পারি তাহলে আমরা সহযেই হারাম পথ বর্জন করতে পারবো। কারন খুব অল্প সংখ্যক জিনিস ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে হারাম এগুলা হতে পারে মদ , জুয়া, পর্নগ্রাফি ,সুদ ঘুশ সম্পর্কিত ভিডিও অথবা এগুলা প্রচারনা করা যা হবে আমাদের জন্য হারাম উপার্জন হবে । এখন ভিডিও ইডিটিং এর ক্ষেত্রে আমর যদি এই বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখতে পারি অথবা ওয়েব সাইট ডিজাইন বা কোনো কিছুর প্রচারনায় ইসলামিক বা মানুষের উপকার হয় এমন কিছু রাখতে পারি তাহলে আমাদের উপর্জন হালাল হবে । নিচে আরোবিস্তারিত আলোচনা আছে ।

2.ইসলামিক বিধি সকল নিয়ম কানুন মেনে হালাল ভাবে ইনকাম করা সম্ভব।

ইসলামকে বুঝতে পারলে ইসলামের থেকে সহজ বিষয় আর কিছু নেই। নিজে কষ্ট করে উপার্জনের টাকা যদি হারাম হয় তাহলে এর থেকে খারাপ লাগা আর কিছু হতে পারে না। সকল বিধি নিষেধ মেনে আমরা হালাল ভাবে সৎ পথে টাকা ইনকাম করতে পারি এর মধ্যে রয়েছে কন্টেন্ট রাইটিং,অ্যাপ ডেভলপমেন্ট , অনলাইন টিউটর এছারাও আছে ডিজিটাল মার্কেটিং। তা ছারাও অনেক অনেক উপায় আছে । আমাদের শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে যে সবগুলা বিষয়ের মাঝে সুধু সুদ,ঘুস,মানুষের সাথে প্রতারনা থাকা যাবে না।নিজে একটা কাজ ভালো পারি বলেই অনেক বেশি টাকা নেয়া যাবে না । কাজের সঠিক এবং ন্যায্য পারিশ্রমিক নির্ধারন করতে হবে। অন্য কাজ চুরি করে নিজের নামে চালানো যাবে না। এছারাও আমি যে বিষয় গুলা নিয়ে বলেছি তা সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 



3.কোনো ব্যাক্তি বিপদে পরলে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেয়া।


বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করা একটি মহান কাজ।ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বিপদে পরা মানুষকে সাহায্য করার যতেষ্ঠ উপায় রয়েছে । আমরা চাইলেই হালাল ভাবে ইনকাম করে মানুষকে সাহায্য করতে পারি ।
সাহায্য করার ক্ষেত্রে একটা হাদিস রয়েছে 


হাদিসঃ "তোমরা যা দান করো তা তোমাদের জন্য উল্টভাবে(আল্লাহর কাছে) উত্তম হবে এবং তোমরা যা সঞ্ছয় করো তা কখনো নষ্ট হবে না " (সহীহ মুসলিম)

নতুন কেউ এই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসতে চাইলে তাকে আমরা নানান ভাবে সাহায্য করতে পারি । সেটা হতে পারে নিজের কোনো প্রজেক্ট তাকে দিয়ে বা সে কাজ না পারলে তাকে কাজ সিখানোর মাধ্যমে । আপনার করা ইনকাম থেকে একটা ফাউন্ডেশন চালু করতে পারেন । যা থেকে গরিব এবং দুস্থ মানুষের সাহায্য করতে পারেন।

আরেক টা হাদিস আমরা জানি 

"যে ব্যক্তি মুসলিম ভাইয়ের কোনো বিপদ দূর করবে , মহান আল্লাহ তায়ালা তার বিপদ দূর করবেন" (সহীহ মুসলিম)

4. হারাম বা নিষিদ্ধ পথ অবলম্বন না করা।

ফ্রিলান্সিং এমন একটা বিষয় যা থেকে আমরা খারাপ ভালো সব উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারি।হারাম পথ হতে পারে সুদ, ঘুস ,জুয়া,পর্নসাইট এর প্রমশনাল ভিডিও, মানুষ ঠকানো, মিথ্যে বলে টাকা নেয়া। এই সব হারাম পথ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে । ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে এই সকল বিষয় চিন্তা করে লিখতে পারলে আমরা নিজেদের আয় হালাল ভাবে উপার্জন করতে পারবো।অন্যথায় কষ্ট করে ইনকাম করলেও সেটা হারাম এর অন্তরভুক্ত হবে।




অ্যাডমিনের পরামর্শ


মহান আল্লাহ তায়াল সুদ কে করেছে হারাম ব্যাবসা কে করেছে হালাল। আমরা নিজেরা কষ্ট করে ইনকাম করতে পারলে আমাদের মনের মধ্যে আলাদা একটা শান্তি অনুভব করতে পারি।তাই সু্‌দ, ঘুস,জুয়া ত্যাগ করে অনলাইনে হালাল ভাবে ইনকাম করতে পারি। সকল দিক চিন্তা করে নিজের ব্যাবসা প্রতিষ্টান দার করানো সম্ভব এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি ২০২৪ সাল থেকে সফল ভাবে হালাল পথে আয় করে যাচ্ছি।


















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url