ছেলেদের মুখে ব্রণ কমানোর উপায়
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ছেলে মেয়েদর মধ্যে কৈশোর এবং তরুণ্যদের ত্বকে ব্রণ দেখা যায়।এটি দীর্ঘদিন থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের স্পর্ট বা দাগ সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বকে ক্ষতি হয়ে যায়।তবে মেয়েদের ব্রণের তুলনায় ছেলেদের ব্রণ ভিন্ন।
ব্রণ সাধারণত উঠতি বয়সের টিনএজ ত্বকের সমস্যা।হরমোন পরিবর্তনের ফলে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়।সঙ্গে মুখের এবং শরীরের ত্বক পরিবর্তন হয়ে থাকে।
সূচিপত্রঃছেলেদের ত্বক থেকে ব্রণ দূর করার উপায়
- ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার লক্ষণ
- মুখের ত্বক কোমল এবং মসৃণ রাখার করণীয়
- মুখের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
- ব্রণ দূর করার উপায় এবং রূপচর্চা
- ব্রণ দূর করতে হলুদের ব্যবহার
- চন্দনের গুঁড়া ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
- সঠিক ভাবে ত্বক পরিষ্কার করা
- উপসংহার
ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার লক্ষণ
কৈশোর এবং তরুণ্যদের মধ্যে হরমোন পরিবর্তনের ফলে ব্রণ হয়ে থাকে।ছেলেদের ত্বকের ব্রণ এবং মেয়েদের ত্বকের ব্রণ ভিন্ন হয়ে থাকে।মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মুখে ব্রণের তীব্রতা একটু বেশি থাকে।আবার অধিকাংশ তরুণদের মধ্যে বয়স পেরিয়ে গেলেও ব্রণের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।বাইরের ধুলা বালি মুখে পড়ার কারণে ত্বকে জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়।এবং ত্বকে লোম জমার ফলে ব্রণ সৃষ্টি হয়।বাসায় বা বাহিরে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত তেল যুক্ত ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে ব্রণের সমস্যা হয়।
আরো পড়ুনঃতৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন মশ্চারাইজার ভালো
ব্রণের হাত দেওয়ার ফলে মুখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।আবারো অধিকাংশ সময় দেখা যায় ব্রণ এমনিতেই সেড়ে গিয়ে থাকে।ব্রণ অবস্থায় মুখে সাবান বা তেল জাতীয় কোন কিছু বড়ানো যাবে না।শুধু যেকোনো একটি নির্দিষ্ট ফ্রেসওয়াশ দিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং বাহির থেকে ঘুরে এসে বা রাতে ঘুমানোর আগে ভালো ভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- ব্রণ কমাতে ঔষধ এবং ভালো মানের ফ্রেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।
- মুখে ব্রণ থাকা অবস্থায় সেভ না করাই উত্তম।এতে সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ে।
- মুখে যেন ময়লা বা তেল জমতে না পারে তার জন্য প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে।
- অধিক পরিমানে পানি পান করতে হবে এবং মুখে পুষ্টি বাড়ানোর জন্য ফলমূল এবং শাকসবজি প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- ঘরে বা বাইরে ভাজাপোড়া বা তেল জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
- অধিক মাত্রায় অতিরিক্ত রাত জাগা,চা কফি,বেশি খাওয়া উচিত নয়।বাইরে কোথাও গুরতে বা কাজ করতে গেলে রোদের ত্বকের ধরন বুঝে সানব্লক ব্যবহার করা উচিত।
- চুলে বা শরীরের যে কোনো অংশে তেল নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে মুখে যেন না লাগে।
- প্রয়োজন মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
মুখের ত্বক কোমল এবং মসৃণ রাখার করণীয়
ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ত্বকের অতিরিক্ত তেল,ময়লা ও ঘাম প্রতিরোধ করতে হবে।তবে ব্রণে হাত লাগানো বা অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার ফলে আরো বেশি খারাপ হতে পারে।এর পিছনে সাধারণত দুটি কারণ রয়েছে।মুখ পরিষ্কার করার জন্য আমরা যে ধরনের ফ্রেসওয়াস বা ক্লিনজার ব্যবহার করে থাকি যা আসলে কতটুকু কার্যকরি তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
মুখের ত্বক অতিরিক্ত ফ্রেসওয়াশ বা ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করলে তেল,ঘাম এবং ময়লার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সিবাম অপসারিত হয়ে থাকে।তখন মুখের ত্বক উজ্জল করতে এবং সিবাম উৎপাদন করতে বা ভারসাম্য রাখতে আরো বেশি ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ওঠে।তৈলাক্ত ত্বক থেকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি।
ত্বক ছোঁয়া যাবে না
মুখে ব্রণ থাকুক বা না থাকুক প্রয়োজন ছারা অতিরিক্ত সময় বা একের অধিক সময় মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।হাতের মাঝে অনেক সময় ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে।যা মুখের ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে।ব্রণের শুরু সাধারণত এইভাবে শুরু হয়ে থাকে।তাই অতিরিক্ত সময় মুখের ত্বকে হাত দেওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।আরো ভালো হয় জীবাণুমুক্ত হাত মুখ পরিষ্কার পরিছন্নতা রাখলে।
আরো পড়ুনঃশিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
সঠিক ভাবে ত্বক পরিষ্কার করা
ব্রণ সাধারণত শরীরের যে কোন অংশে দেখা দিতে পারে।তবে এগুলো শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকে মুখে বেশি দেখা যায়।তাই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সঠিক ভাবে ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে।যাদের মুখের ত্বক শুষ্ক তাদের ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং বাইরে থেকে ঘুরে এসে বা রাতে ঘুমানোর আগে ভালো ভাবে মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।
সাধারণত যাদের মুখে তৈলাক্ত ত্বক বা মিশ্র তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার পরিষ্কার করা উচিত।এ বিষয়ে ডাক্তার বা দোকান দারের পরামর্শ অনুযায়ী ভালো মানের ফ্রেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।ফ্রেসওয়াশে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজয়েল পার অক্সাইড আছে কিনা তা সঠিক ভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
মুখের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
শরীর বা যে কোন অংশে যেসব সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে মুখের ত্বকে ব্রণ উল্লেখযোগ্য।আমাদের মুখের ত্বকে অতিরিক্ত তেলাক্ত তেল,ময়লা এবং নিম্নমানের স্ক্রিন প্রোডাক্ট (ফ্রেসওয়াশ)ব্যবহারের ফলে ব্রণ রোগ রোগ দেখা দেয়।অপরিষ্কার,তৈলাক্ত ত্বক এবং ময়লা জমে থাকা ব্রণ তৈরির পিছনে দায়ী।অতিরিক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠলে খারাপ এবং সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।ব্রণ এবং ব্রণের দাগ আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক টাই কমিয়ে দেয়।ব্রণ ও এর দাগ থেকে সুরক্ষা পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
কারণ আপনার শরীরের পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করতে পানির গুরুত্ব অপরিসীম।প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার পানি খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।শরীরে বা ত্বকে পানির প্রভাব কম থাকলে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে।লেবুর রস সাধারণত অ্যাসিড বর্জ্য দুর করতে এবং লিভার থেকে সাইট্রিক অ্যাসিড থেকে প্রচার করতে ভূমিকা পালন করে।রক্তে বিষাক্ত পদার্থ মিশে থাকলে লেবুর রস তা দূর করে এনজাইম তৈরি করতে সাহায্য করে।যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল,কোমল এবং মৃসণ রাখে।
মুখের দাগ বা শরীরের যে কোন অংশের দাগ দূর করতে তরমুজ খুবই উপকারী।এটি ভিটামিন এ,বি এবং সি সমৃদ্ধ তরমুজ ত্বককে উজ্জল এবং হাইড্রেটেড রাখে।এটি মুখের ব্রণ ও দাগ দূর করতে সহয়তা করে।ব্রণ রোগ প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।কারন দইয়ে অ্যান্টিফাঙাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল থাকার কারনে ত্বক পরিষ্কার এবং ত্বকে জীবানু থাকার ফলে ছিদ্র আটকে থাকলে তা অবরুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
লেবুর রস
লেবুর রস সাধারণত ত্বকের ব্রণ বা দাগ ফেসই ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।লেবুতে মূলত সাইট্রিক এসিড থাকে।যা ত্বক উজ্জ্বল এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে পরিষ্কার করে।ত্বকের কোষ পুননর্বীকরণ করতে লেবুর রস সাহায্য করে।যা ব্রণের প্রভাবে অনেক দাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে তা দুর করতে সাহায্য করে।লেবুর রস একটি পরিষ্কার তুলাতে বা কাপুরে মাখিয়ে ত্বকে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা
ব্রণের দাগ কমাতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী।এটি সাধারণত ক্ষতস্থানে নিরাময়ে সাহায্য করে।অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্রণের উপর লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিন তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন।
মধু
ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হলো মধু।মধু সাধারণত মৃত কোষ দূর করতে এবং ব্রণের দাগ কমাতে সাহায্য করে।এটি ত্বককে উজ্জল,মসৃণ ও কোমল শীতল রাখে এবং ব্রণের দাগ দূর তো কমাতে সাহায্য করে।
ব্রণ দূর করার উপায় এবং রূপচর্চা
আমাদের ত্বকের উজ্জল নষ্ট করে দেয় এই ব্রণ নামক সমস্যা।ব্রণ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য ব্রণ দূর করার উপায় এবং রূপচর্চার সকল বিষয়বস্তু জানা থাকলে দ্রুত সময়ে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।সাধারণত আমাদের ব্রণ হবার মূল কারণ হলো তৈলগ্রন্থি ব্যাটেরিয়া ত্বকের দ্বারা আক্রান্ত হলে।তখন এটি আকারে বড় হয় এবং ভেতরের অংশে পুজ জমতে থাকে।যা দীর্ঘদিন থাকার ফলে ব্রণ হিসাবে প্রকাশ পায়।বেশির ভাগ বয়সন্ধীকালিন সময়ে বেশি দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃকিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
বর্তমান ইন্টারনেট যুগে নেটে ডুকলেই অনেক ধরনের সমাধান খুঁজে পাবেন।তবে সবগুলো পরামর্শ আপনার জন্য সহায়ক নাও হতে পারে।নিজের মুখের ব্রণের ত্বকের ধরন বুঝে বেছে নিতে হবে ঘরোয়া পদ্ধতি।
ব্রণ দূর করার উপায়
ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন:প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে মৃদ ফেসওয়াশ এবং পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এতে ত্বকে অতিরিক্ত জমে থাকা ময়লা,তেল এবং ঘাম দুর করতে সাহায্য করে যা ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
চা গাছের তেল:চা গাছের তেল ব্রণ থেকে সুরক্ষা রাখতে ভূমিকা পালন করেন।যেমন প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে।ব্রণ এবং দাগ কমাতে সহায়তা করে সরাসরি ব্রণের উপর লাগানোর প্রভাবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খাদ্য দিকে খেয়াল রাখা জরুরী।অতিরিক্ত তেল জাতীয় ভাজা পোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকা জরুরি।
ব্রণ দূর করতে হলুদের ব্যবহার
ব্রণের সমস্যা দুর করতে অনেক সময় নানা প্রচেষ্টা হার মেনে যায়। এই সমস্যা ছেলেদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।ত্বকে ব্রণ হবার ফলে শুধু যে অস্বস্তিকর বোধ হয় তা নয় বরং মুখে সৌন্দর্য নষ্ট করে।ব্রণ দূর করতে প্রাকৃতিক চিকিৎসার কোন অভাব নেই কিন্তু চিকিৎসা নেওয়ার আগে ব্রণের ধরণ যাচাই করা জরুর।
সেজন্য আগে ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে জানতে হবে এবং ঘরে বসেই যত্ন নিতে হবে।যথাসময়ে ব্রণের যত্ন নিলে দাগ এবং অনেক সমস্যাই দূর করা সম্ভব।এ বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকারী উপাদান হলো হলুদ।এটি ত্বকের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
হলুদ ও মধু মিশ্রণ
- এক চামচ হলুদ গুঁড়া এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে একটি ঔষধ তৈরি করুন।
- এটি ত্বকের ব্রনের উপরে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন।
- এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এটি সাধারণত ত্বকের তৈলাক্ত এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ ও দুধ মিশ্রণ
- এক চামচ হলুদ গুড়া এবং কয়েক ফোটা দুধ মিশিয়ে ঔষধ তৈরি করুন।
- এটি ত্বকের ব্রণের উপর ১০-১৫ মিনিট রেখে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি ত্বককে নরম,উজ্জ্বল এবং ব্রণ করতে সাহায্য করে।
চন্দনের গুঁড়া ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
ত্বক থেকে ব্রণ দূর করার জন্য অন্যতম কার্যকরী গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো চন্দনের ঘোড়াও কাঁচা হলুদ।এটি দিয়ে সাধারণত পেস্ট তৈরি করতে সম পরিমাণে উপাদান এবং পানি মিশ্রিত করুন।এরপর ত্বকের ব্রণের স্থানে কিছু সময় রেখে দিন এবং শুকিয়ে যাওয়ার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ মুখ ধুয়ে ফেল।এতে ত্বকে ময়লা বা তৈলাক্ত দূর হয়ে থাকে।ব্রণ হওয়ার মূল কারণ তৈলাক্ত ত্বক এবং ময়লা।সঠিক সময়ে যথা নিয়মে পরিষ্কার না করার ফলে ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
চন্দনের গুঁড়া
ত্বকের যত্ন:চন্দনের গুঁড়া ত্বকের উজ্জল এবং প্রদাহ কমাতে,পিম্পল বা ত্বকে ব্রনের সমস্যা সমাধান করতে এবং ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।এটি সাধারণত ময়লা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য মাক্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার:চন্দন গুড়া পেস্ট হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করার জন্য এক চামচ চন্দন গুড়া এবং এক চামচ গোলাপ জল মিশ্রণ করে তৈরি করা হয়।এবং ত্বকে প্রয়োগ করার ২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে দুধে ফেলুন।
ত্বক উজ্জ্বল করা:ত্বকের উজ্জ্বল এবং সৌন্দর্য বাড়াতে চন্দন গুঁড়া সাহায্য করে।
কাঁচা হলুদ
ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করা:কাঁচা হলুদ ত্বকের উজ্জল এবং বিভিন্ন ধরনের দাগ বা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার:কাঁচা হলুদ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকের ব্রণ স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যান্টি এজিং:কাঁচা হলুদ সাধারণত ত্বকের ক্ষেত্রে কুরকিউমিন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।যা ত্বককে বয়সের ছাপ,ব্রণ এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে রক্ষা করে।
সঠিক ভাবে ত্বক পরিষ্কার করা
ত্বক থেকে ব্রণ রক্ষা করার জন্য আমাদের ত্নকে ভালো কিছু ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োম থাকে।যা ব্রণ রোগের ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে এবং ব্রণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।অতিরিক্ত ত্বক পরিষ্কার করার ফলে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মারা যেতে পারে।তখন ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হয়।এ জন্য ত্বক পরিষ্কার করার আগে নিয়ম জেনে নিতে হবে।যাদের ত্বক শুস্ক এবং নরম তারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।
যাদের তৈলাক্ত ত্বক বা মিশ্র তাদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে সর্বনিম্ন প্রতিদিন দুইবার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।এক্ষেত্রে নিম্নমানের প্রোডাক্ট দূরে রেখে ভালো মানের একটি নির্দিষ্ট ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।ফেসওয়াশের মধ্যে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজয়েল পার অক্সাইড আছে কিনা তা পরীক্ষা করে যাচাই করে নিতে হবে।
মুখ ধোয়া:ত্বকের ব্রণের অবস্থা বুঝে উপযুক্ত ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে থাকলে অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।শুষ্ক ত্বকের জন্য উন্নত মানের ফেসওয়াশ হলো মাইল্ড বা হাইড্রেটিং ফেসওয়াশ।উষ্ণ জল দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।
গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া:গরম পানিতে ক্লিনজার ভালো ভাবে কাজ করার কারণ গরম পানি ত্বকে দেওয়ার সাথে সাথে ত্বকের খোলা হয়ে যায়।অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়।কারণ ত্বক যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
মশ্চাইজার:পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক সম্পূর্ণ ভাবে পরিষ্কার করার পর মশ্চাইজার ব্যবহার করা জরুরি বিশেষ করে শুকনো বা শুস্ক ত্বকের জন্য।
উপসংহার
ব্রণ থেকে সুরক্ষা থাকার জন্য পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার সম্পূর্ণ মুখ ধোয়া উচিত।ব্রণ থেকে কিভাবে রক্ষা পাবেন সে বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি।আপনি যদি ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে চান তাহলে আপনাকে পরিষ্কার এবং সকল নিয়ম বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।তেলাক্ত ত্বক,ময়লা এবং ঘাম থেকে ব্রণের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
আমাদের পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনি যদি এই রকম পরামর্শ প্রতিদিন পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট পেইজ টি ফলো করে রাখবেন।কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নীতিমালা অনুসরণ করে আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করে থাকি।
লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url