সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় জানুন
খেজুর আমাদের সবারই প্রিয় একটি ফল।আমরা অনেকেই সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা।আমরা জানি ফল ভরা পেটে খেতে হয়।কিন্তু খেজুর এমন একটা ফল যা খালি পেটে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
সম্পূর্ণ পোস্টে আমরা খেজুরের উপকারিতা এবং এর সম্পর্কে যত প্রশ্ন রয়েছে তার উত্তর এবং বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।আশা করি এতে আপনাদের আর জানার কিছু বাকি থাকবে না।নিজের শরীরকে সুস্থ সবল এবং প্রাণবন্ধক রাখতে খালি পেটে খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সূচিপত্রঃসকালো খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা
- খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়মাবলী
- সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
- দিনে কি পরিমান খেজুর খাওয়া উচিত
- খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়ে না কমে
- খেজুরের সাথে দুধ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- শরীরের ওজন কমাতে কোন খেজুর খাওয়া ভালো
- উপসংহার
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ধারনা এবং নিয়ম যেমন খেজুর এমন একটি ফল যা পুষ্টিগুণে ভরপুর আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ এছাড়া
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা। করে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া
ছাড়াও আমাদের নিজের শরীরের সৃষ্ট রোগ যেমনঃ বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া করা
,পেটের পিরা ,কষ্টকাঠিন্য , গ্যাসটিক ,মস্তিষ্কের বিকাশ ও সচল ওজন নিয়ন্ত্রণ ,
উচ্চ রক্তচাপ , আলসার, গর্ভবতী নারীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে
খেজুর।
নিজের শরীরকে সুস্থ সবল এবং প্রাণবন্ত রাখতে আমাদের সকলেরই উচিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা নিয়মিত। এত পুষ্টি উপাদান সম্পূর্ণ ফলটির সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত এটার কি কি উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে এছাড়াও সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম এবং কয়টি খেতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি আশা করছি আপনারা সকলেই আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে উপকৃত হবেন।
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা তা আমাদের জন্য যে কত উপকার সেটা আপনাদের মাঝে সহজ ভাবে
উপস্থাপনের জন্য আমি পয়েন্ট আকারে লিখেছি-
ওজন নিয়ন্ত্রণ ঃ বর্তমানে অনেকেই নিজের শরীরের ওজন নিয়ে
চিন্তিত। ফাইবার ,স্টার্চ আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ । সাইবার আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কাটাতে সাহায্য করে এবং
ক্ষুধা কম রাখতে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখে। খাবার কম
খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে যে ঘাটতি দেখা দেয় তা খেজুরের সাহায্যে সহজেই মেটানো
সম্ভব।
আরো পড়ুনঃকোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
মস্তিষ্ক ভালো রাখতেঃ আমাদের মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে যে সকল পুষ্টি উপাদান দরকার তা সবই খেজুরের মধ্যে আছে। সারাদিনের, ক্লান্তি দূর করতে , কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে , সারাদিনে প্রয়োজনীয় ক্যালোরি এবং পুষ্টি উপাদান যোগান দিতে সকালবেলা খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর যথেষ্ট। বাচ্চাদের মেধাবিকাশের ক্ষেত্রে খেজুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেঃ আমাদের শরীরে রক্তে সরবরোহে
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। রক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে আয়রন
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আর খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।
তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সকালে খালি পেটে নিয়মিত খেজুর খেলেই
যথেষ্ট।
হার্টের সমস্যা দূর করতেঃ খেজুর আমাদের হার্টকে বিভিন্ন ধরনের
হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে সক্ষম। যাদের হার্ট দুর্বল এবং হার্টে বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা রয়েছে তারা সকালে খালি পেটে নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ বয়সের সাথে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন; ব্রণ , চোখের নিচে কালো দাগ , মেস্তা ,
ক উস্ক ও রুক্ষ ত্বক ইত্যাদি। ভেতর থেকে ফর্সা ভাব সুন্দর এবং উজ্জ্বল
চেহারা , ত্বক সবসময় টনটনে রাখা এবং সৌন্দর্য বের করে আনা সহ বয়স
বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের ত্বকে সৃষ্ট সকল সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে।
খালি পেটে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা সকল সমস্যার
সমাধান পেতে পারি।
চুলের যত্নেঃ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ঘাটতির জন্য আমাদের
অনেকেরই রুক্ষ , শুষ্ক , চুল ঝরে পড়া , নতুন চুল না গজানো , মাথায় খুশকি ,
চুল ছোট থাকা , চুল পাতলা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। চুল মজবুত
, ঘন ও উজ্জ্বল করে তোলার জন্য যে সকল পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তা সবাই
খেজুরের মধ্যে রয়েছে।
গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেঃ একজন পুষ্টিগুণে সম্পন্ন মা-ই
পারে একটি সুস্থ সবল সন্তান জন্ম দিতে। সবসময় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকা
প্রয়োজন একজন গর্ভবতী নারীর। যেহেতু খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ,
পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ-সি-ডি, খনিজ লবণ ছাড়াও
অনেক পুষ্টিগুণ-এ ে ভরপুর তাই খেজুর গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজনীয়
সকল পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই যোগান দিতে পারে। একজন গর্ভবতী মহিলা দিনে তিনটি
থেকে চারটি খেজুর নিয়মিত খেলেই তার পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি খুব সহজেই মেটানো
সম্ভব।
এতক্ষণ আমরা জানলাম খেজুর কিভাবে নিজের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যোগান দিতে পারে। এখন আমরা জানবো খেজুর কিভাবে রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে-
যাদের অনেক পুরনো খুশখুসে কাশি এখনো ঠিক হচ্ছে না তারা চাইলেই খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন এর মাধ্যমে দুটো সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে আপনার খুশখুসে কাশি দূর হয়ে যাবে। খুসখুসে কাশি দূর করতে রাতে এক গ্লাস পানিতে সাত থেকে নয়টি খেজুর ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেঃ আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে খেজুর অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে থাকা রোগ জীবাণু ও
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সাথে যুদ্ধ করে। এর জন্য খেজুর কে ক্যান্সার প্রতিরোধ নামে
ডাকা হয় কারণ এটি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতেঃ আমাদের বদহজম, পচন ক্রিয়া, বুকে জালা
পেটব্যথা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে ফাইবার যা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে খেজুরের
মধ্যে। এছাড়াও পেটের বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ করতে পারি নিয়মিত সকালে খালি
পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে।
কর্মশক্তি বৃদ্ধিঃ আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে , কাজ করতে
স্বাচ্ছন্দবোধ, , সারাদিন চাঙ্গা , কর্মশক্তি বৃদ্ধি এবং প্রফুল্ল মন বজায় রাখতে
আমাদের সকালের নাস্তা অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর হতে হবে। এজন্য আপনারা নিয়মিত
সকালে খালি পেটে বা নাস্তা হিসেবে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন যা
আপনার মন ও শরীরের কর্মশক্তি বৃদ্ধি করবে।
হৃদরোগ প্রতিরোধকঃ আমাদের শরীরে হৃদরোগের জন্য একমাত্র দায়ী পটাশিয়াম।
পটাশিয়ামের অভাবে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বারে। যেহেতু খেজুরে প্রচুর
পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে তাই এটিই খাওয়ার মাধ্যমে আমরা হৃদরোগ প্রতিরোধ
এবং স্টকের ঝুঁকি কমাতে পারি।
কোলেস্টরেল কমাতেঃ আমাদের দেহে ক্ষতিকর পদার্থ এবং কোলেস্টরেল থাকে যা
আমাদের রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে ।কিন্তু খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান এই
কোলেস্টরেল এবং ক্ষতিকার পদার্থ বের করে দেয়। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ফলে শরীর সুস্থ সবল থাকে।
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়মাবলী
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানলাম
। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আপনি এ
সম্পর্কে সকল তথ্য জানলে অনেক উপকৃত হবেন। খেজুরের পুষ্টি উপাদান ও
গুণগতমান সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা সত্ত্বেও খাওয়ার সঠিক নিয়ম না
জানলে উপরোক্ত তথ্য আমাদের কোন কাজে আসবে না। তাই কখন কিভাবে খেজুর খেলে
আমরা খেজুরের সম্পূর্ণ পুষ্টি উপাদান এবং গুণগতমান পাবেন সে সম্পর্কে নিচে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো;
-
সকালে খালি পেটে তিন থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন।
-
আপনার সকালে ও দুপুরের মাঝামাঝি সময় ক্ষুধার ভাব হলে আপনি খেজুর
খেতে পারেন
-
সন্ধ্যার আগে নাস্তা হিসেবে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন
-
রাত্রে ঘুমানোর আগে পাঁচ থেকে আটটি খেজুর খেতে পারে
-
পাঁচ থেকে সাতটি খেজুর একটি গ্লাসে রাতে ভিজিয়ে রাখুন
-
রাতে ভেজানো ৫ থেকে ৭ টি খেজুর সকালে খালি পেটে মধুর সাথে খেতে পারেন
-
পাঁচ থেকে সাতটি খেজুর ভেজানো ওই গ্লাসের মধ্যে সাত থেকে নয়টি কিসমিস মিশিয়ে
সকালে খালি পেটে এগুলোর পানি খেতে পারেন
-
দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন
- আপনি চাইলে বাদাম কিসমিস ও মধু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে তার মধ্যে খেজুর দিয়ে খেতে পারেন
আরো পড়ুনঃছেলেদের মুখে ব্রণ কমানোর উপায়
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
-
খেজুর এমন একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে
তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা সকালে খালি পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেলে
হঠাৎ করে ডায়াবেটিকস বৃদ্ধি পেতে পারে। নিজের এই ডায়াবেটিক্স সমস্যা
এড়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞ ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
-
অনেকেরই শরীরে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যেহেতু খেজুরে অধিক পরিমাণে
পটাশিয়াম থাকে তাই আপনারা অবশ্যই খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
-
ভাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়া চলমান রাখে যেহেতু খেজুরে অতিরিক্ত
পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তাই খালি পেটে অতিরিক্ত খেজুর খেলে আমাদের
গ্যাস্ট্রিক, পেটব্যথা ও ডায়রিয়া ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
আমাদের দৈহিক ওজন বৃদ্ধির সাথে মিষ্টির একটা অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে।
যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন
অথবা কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ খেজুর মিষ্টি জাতীয় ফল।
দিনে কি পরিমান খেজুর খাওয়া উচিত
-
খেজুরের পুষ্টি উপাদান পরিমাপের মাধ্যমে জানা যায় যে প্রোটিন ২.৪ থেকে ৫.৮ ,
ফাইবার 6. 4 থেকে ১১. ৮ শতকরা এবং খেজুরের অন্যতম একটি উপাদান কার্বন ৪৫
% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
-
একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম বা ৪ থেকে ৫টি
খেজুর খুব সহজে খেতে পারবেন।
-
ডায়াবেটিসের রোগী এবং যাদের স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন বেশি তারা দিনে
সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি খেজুর খেতে পারেন। এছাড়া ডায়াবেটিসের রোগীর
ক্ষেত্রে বিশেষঅজ্ঞ ডক্টর এর পরামর্শ অতীব জরুরী।
-
যাদের স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কম তারা সাত থেকে নয়টি খেজুর খেতে পারেন।
-
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, মিনারে্ আয়রন ও স্নেহ জাতীয় পদার্থ
থাকে। যাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ বিষয় হলে যে এই ছোট ছোট লেখা
ভাল্লাগেনা পটাশিয়াম রয়েছে তারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে দুই থেকে
তিনটি খেজুর নিয়মিত খেতে পারেন। অপরদিকে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চার থেকে
পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন কেননা আইরন , স্নেহ জাতীয় পদার্থ হৃদপিণ্ড কে
সুস্থ এবং সবল রাখে।
- অনেকের অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে বুক জ্বালাপোড়া করে এবং হজম ক্রিয়ায় সমস্যা হয় তারা নিয়ম করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনটি খেজুর খেতে পারেন।
খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়ে না কমে?
- অনেকেই শরীরের ওজন বাড়াতে চায়। ওজন বাড়াতে শুধু খেজুর খেয়েও নিজের ওজন খুব দ্রুততার সাথে বাড়ানো যায়। বিভিন্ন পায়ে খেজুর খাওয়া যেতে পারে যেমন দুধ ও খেজুর ছয় থেকে আটটি খেজুর একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত খাবেন।
- আপনারা খেজুরের সাথে আরও ভালো ফলাফল পেতে কিসমিস খেতে পারে। রাতে সাত থেকে নয়টি খেজুরের সাথে আপনি সর্বোচ্চ আটটি কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে না খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন এতে আপনার শরীরের ওজন দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাবে
-
দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য হাফ কাপ মধু বিভিন্ন প্রকারের বাদাম যেমন
কাঠবাদাম কাজু ইত্যাদি এক কাপ পরিমাণে ঘি ভালো করে মিশিয়ে রাতে এবং সকালে
খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
খেজুরের সাথে দুধ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
শরীরের ওজন কমাতে কোন খেজুর খাওয়া ভালো
- সাফাওয়ি
- আমবাই
- সুগাই
- মরিয়ম
- আজওয়া
- আরজেরিয়া
- মেডজুল
- মাবরুম
- ডাব্বাস
- নাগাল
- খুরমা
- জাহদি
লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url