তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন মশ্চারাইজার ভালো

তৈলাক্ত ত্বক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাধারণত ওয়াটার বেজড বা জেল জাতীয় মশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।এই মশ্চারাইজারে তেলের পরিমাণ অন্যান্য মশ্চারাইজারের তুলনায়  কম।

তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-মশ্চারাইজার-ভালো

তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মিশ্র বা স্বাভাবিক ত্বকে যেকোনো বিভিন্ন ধরনের মশ্চাইজার ব্যবহার যেতে পারে।অনেকে আবার ধারণা করে থাকেন তৈলাক্ত ত্বকে মশ্চাইজার ব্যবহার না করলেও চলবে।

সূচিপত্রঃতৈলাক্ত ত্বক থেকে সুরক্ষা পেতে মশ্চাইজারের ব্যবহার

তৈলাক্ত ত্বকের লক্ষণ

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সঠিক মশ্চাইজার চিন্তা ভাবনা এবং ধারনা করা খুবই প্রয়োজনীয়।এমন ত্বক থেকে মুক্তি পাবার জন্য বিশেষ কিছু সর্তকতা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।তৈলাক্ত তৈল সাধারণ ভাবে প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন করে।তবু ও এটি প্রয়োজনের তুলনায় আদ্রতা থেকে বঞ্চিত থাকতে পারে।সঠিক মশ্চাইজার ত্বক ভালো রাখতে এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত তেল উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ করে।মশ্চাইজার সাধারণ ভাবে ত্বক থেকে আদ্রতা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে।

তৈলাক্ত-ত্বকের-লক্ষণ

আরো পড়ুনঃডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন কি

মুখে অতিরিক্ত তেল ঝরার কারনে বিভিন্ন ধরনের স্পর্ট আসতে পারে।অতিরিক্ত তেল মুখে আসার জন্য বিভিন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন ব্রণ,ঘামাছি এবং চুলকানি হতে পারে।তাই এই সব থেকে মুক্তি এবং রক্ষা পাবার জন্য ভালো মানের মশ্চাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজনীয়।তার আগে আমাদের বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন সাবান ব্যবহার করা যাবে না।সকল সময় মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে।নিয়ম করে ঘুমানোর আগে হাত মুখ ধুয়ে  নিতে হবে।

তাহলে মুখে তেল কম দেখা যাবে।এবং পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে।প্রয়োজনীয় সময় ছাড়া অতিরিক্ত রাত জাগা জাবে না।অনেক সময় অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়।তাই তৈলাক্ত তেল হতে সাবধান এবং অল্প থেকে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজণী।দীর্ঘদিন যাবত তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে থাকলে সেখান থেকে ভাইরাস উৎপাদন হতে পারে।

অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণঃস্বাভাবিক তুলনায় তৈলাক্ত ত্বক অতিরিক্ত বেশি পরিমানে তৈরি করে থাকে।সে ক্ষেত্রে এমন মশ্চাইজার ব্যবহার করা উচিত যে মশ্চাইজার ব্যবহারের ফলে তৈলাক্ত ত্বক অতিরিক্ত তেল উৎপাদন না করে।

হালকা ফর্মুলাঃওয়েল-ভিত্তিক এবং ভাড়ি ক্রিম তৈলাক ত্বকের জন্য মশ্চাইজার ব্যবহার করা একদম সঠিক বা উচিত নয়।কারণ এগুলো আরো অধিক পরিমানে তেল তৈরি করতে পারে।

অক্সিডেশন রোধঃতৈলাক্ত ত্বক দীর্ঘদিন যাবৎ থাকার কারনে ব্রণ এবং স্পর্ট রোগের সমস্যায় ভূগতে পারেন।তাই মশ্চাইজার এমন হতে হবে যেনো তেল উৎন্ন হতে না পারে এবং মশ্চাইজার এমন হতে হবে যাতে অতিরিক্ত তেল তৈরি হতে নিয়ন্ত্রণ করতে সকক্ষম হয়।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো মশ্চাইজারের ব্যবহার

সাধারণত অধিকাংশ মানুষ তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হন।এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবার কারণ অতিরিক্ত তেল উৎপন।দীর্ঘদিন থাকার ফলে চকচকে হয়ে ওঠে এবং ব্লাকহেড,হোয়াইটহেড,ব্রণ,পিম্পল ইত্যাতি হতে পারে।এবং তৈলাক্ত ত্বকের কিছু নির্দেশনা রয়েছে যা অনুসরণ করে চলা খুবই প্রয়োজণীয়।মশ্চাইজার ব্যবহার করা যায় এমন একটি পদ্ধতি যা তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে।

হাইড্রেটিং উপাদান:গ্লিসারিন,হায়ালুরোনিক,অ্যাসিড বা স্যাচুরেটেড,স্যালিসালিক অ্যাডিস ত্বকের গভীরে বেশি সময় ধরে জল আটকে রাখতে সাহায্য করে।

নোন-কমেডোজেনিক(non komedogenic):এই ধরনের উপাদান পোর বন্ধ না করে,যার ফলে ব্রণ হবার আকাঙ্কা অনেক কম থাকে।

সালিসাইলিক অ্যাসিড:এটি সাধারণত তৈলাক্ত ত্বক থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে সাহায্য করে।এবং ব্রণ বা স্পর্ট থেকে রক্ষা করে।

অ্যালো বেড়া:ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও সোরিয়াসিসেরসমস্যার জন্য এটি উপাদানের মত কাজ করতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মশ্চাইজারের প্রয়োজনীয়তা

সাধারণত তৈলাক্ত তেল হলো এমন একটি পদার্থ যার গ্ল্যান্গুডলো(সেবাসিয়াস গ্যান্ড)অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।এই অতিরিক্ত তৈলাক্ত তেল ত্বকের পৃষ্ঠায় জমা হয়ে থাকে এবং ত্বককে উজ্জল এবং চকচকে করে তুলে।সাধারণত ত্বকের তেল উৎপাদনের জন্য দায়ী একটি অঙ্গ হলো সেবাসিয়াস গ্রন্থি,যা ত্বককে পরিষ্কার এবং সুরক্ষা রাখার জন্য তেল উৎপন্ন করে।

আরো পড়ুনঃকিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

তখন ত্বক উজ্জল করে তোলে।এবং এর ফলে ব্রণ,ব্ল্যাকহেড এবং একনের মত ত্বকের সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।সাধারণ ভাবে অধিকাংশ মানুষের কাছে তৈলাক্ত তেলের বিষয়টি বিভ্রান্তিকর হতে পারে।মনে করে যে,অতিরিক্ত তৈলাক্তর কারণে মশ্চাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন নেই।তবে বাস্তব এটাই যে এই ধারনা  টা পুরোই ভুল।

আর্দতা রক্ষা করা:তৈলাক্ত তেলের প্রভাবে আর্তাদ্র তার অভাব দেখা দিতে পারে।তবে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মশ্চাইজারের প্রয়োজন অতুলনীয়।এটি তৈলাক্ত তেল সাধারণত উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

ত্বকে সুষম করা:সাধারণ ভাবে তৈলাক্ত তেলকে সুষম রাখার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।অতিরিক্ত এদের কারণে ত্বকের আর্দ্রতা হারাতে পারে।যা পরবর্তী ত্বককে শুস্ক ও রুক্ষ করতে সাহায্য করে।সঠিম সময়ে মশ্চাইজার ব্যবহার প্রভাবে এই শুস্কতার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

ব্রণ ও পিম্পল নিয়ন্ত্রণ:অতিরিক্ত তৈলাক্ত তেল জমা হবার ফলে ব্রণ এবং পিম্পল সমস্যা দেখা দিতে পারে।সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপে মশ্চাইজার ব্যবহারের ফলে ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।বিষেশত অয়েল-ফ্র মশ্চাইজারগুলো প্রয়োজনীয় আর্দতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।এবং সিবাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।যা ব্রণ কমাতে সাহায্য এবং ভুমিকা পালন করে থাকে।

neutrogena hydro boost water gel:মূলত এই তৈলাক্ত মশ্চাইজারটি হাল্কা এবং জলভিত্তিক।এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ত্বককে গভীর ভাবে হাইড্রেট করে অতচ্য ত্বকে তেল তৈরি করতে বা জমতে দেয় না।

cetaprill PRO oil apsorbing moisturizer:সাধারণত মশ্চাইজারটি তৈলাক্ত তেলের জন্য cetaprill খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এটি ভাইরাস দূর করে ত্বকের আদ্রতা যোগ করে এবং তেল শোষণ করে।এবং ত্বককে উজ্জ্বল এবং ক্লিয়ার চকচকে করে তোলে।

La roche-posay effeclar mat moisluzer:এটি একটি সাধারণত খুবই নমনীয় মশ্চাইজার যা তৈলাক্ত তেলের জন্য উপযুক্ত।

The ordinary natural moisturizing factors+HA

তৈলাক্ত ত্বকে মশ্চাইজারটি হালকা এবং আর্দতা তৈরি করতে ভুমিকা পালন করে থাকে The ordinary,যা তৈলাক্ত তেলের জন্য প্রয়োজণী এবং গুরুত্বপূর্ণ।এতে সাধারণত মিশ্রন থাকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামিনো অ্যাসিড,যা ত্বককে উজ্জল এবং কোমল রাখে।

Kiehl's Ultra facial Oel-free gel cream

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মূলত তৈরি করা হয়েছে Kiehl's মশ্চাইজার।এটি অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন বর্জন করে থাকে।ত্বককে চকচকে এবং কোমল ও মসৃণ রাখে এবং মশ্চাইজার ফিলিং দেয়।

Vichy normaderm anti-acne hydrating gel

তৈলাক্ত ত্বকে সাধারণত আর্দতা যোগ করতে Vichy normaderm anti-acne hydrating gel মশ্চাইজার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।তবে তেল থেকে ত্বককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।এটি ব্রণ থেকে রক্ষা করে এবং পিএইচ বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মশ্চাইজার ব্যবহার করার সঠিক পদ্ধতি 

তৈলাক্ত ত্বক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মশ্চাইজার ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়।কারন ত্বকে তেলের পরিমাণ যদি অধিক মাত্রায় বেড়ে গিয়ে থাকে তাহলে ত্বককে সঠিক ভাবে হাইড্রেট রাখা বড় ধরনের এক চ্যালেনঞ্জং হতে পারে।তবে এটা সবার ভুল চিন্তা ভাবনা বা ধারণা যে তৈলাক্ত ত্বকের জন মশ্চাইজার ব্যবহার প্রয়োজন নেই।ত্বক সঠিক এবং সুন্দর রাখতে মশ্চাইজারের স্বাস্থ্য রক্ষা,এক্সটা তেল তৈরা করা এবং প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

আরো পড়ুনঃবাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

অতিরিক্ত তেল বা সিয়াম তৈলাক্ত তেল উৎপন্ন করে থাকে।যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।এবং সঠিক ভাবে পরিষ্কার না করলে বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।তবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মু্ক্তি পাওয়ার জন্য সঠিক ভাবে মশ্চাইজার ব্যবহার করলে ত্বকে স্তিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।

ত্বক পরিষ্কার করা

মাইল্ড ক্লেনজার ব্যবহার করুন:তৈলাক্ত তেলের প্রভাবের ফলে সাবান বা সালফেট যুক্ত ক্লেনজার ব্যবহার করা উচিত নয়।কারন এগুলো অতিরিক্ত তেল সরিয়ে দিয়ে থাকে এবং শুস্ক হয়ে যেতে পারে।এর পরিবর্তে মাইল্ড,ওয়েল-ফ্রি ক্লেনজার মশ্চাইজার ব্যবহার করুন যা তৈলাক্ত ত্বক থেকে সব ধরনের ময়লা ও তেল পরিষ্কার করবে এবং কোমল ও মসৃণ রাখবে।

গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার:গরম পানি ব্যবহার করা ফলে মুখ ধোয়ার কারনে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে।তাই ত্বক শুস্ক রাখতে ঠান্ডা পানি বা উষ্ণ পানি ব্যবহার করে মুখ ধোয়া উচিত।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য  সঠিক মশ্চাইজার ব্যবহার কেন জরুরি

ত্বকের আর্দতা বজায় রাখা:মশ্চাইজার সঠিক ভাবে ব্যবহার না করার ফলে তৈলাক্ত ত্বকে আর্দতা কম হতে পারে।যেমন জদি ভুল পণ্য ব্যবহার করা হয়।সঠিল মশ্চাইজার ব্যবহারে আর্দ্রতার দিক দিয়ে ত্বক বজায় রাখে।এবং অতিরিক্ত তেল থেকে রক্ষা করে। 

ত্বকের সুরক্ষা:সাধারণত বাইরের দিক থেকে মশ্চাইজার ত্বককে দূষণ,রোদ ও অন্যান্য দুষণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য  সঠিক মশ্চাইজার চয়েস

অয়েল-ফ্রি মশ্চাইজার:তৈলাক্ত ত্বক থেকে রক্ষা পাওয়া জন্য অয়েল-ফ্রি এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক ব্যবহার করা উচিত।যা অতিরিক্ত তেল জমতে না দেয়।

তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-সঠিক-মশ্চাইজার-চয়েস

লাইটওয়েল ফর্মুলা:তৈলাক্ত তেল দূর করার জন্য ভাড়ি কিছু ব্যবহার না করে লাইটওয়েল ফর্মুলা ব্যবহার করা উত্তম।এই ধরনের ফর্মুলা খুবই দূর্ত তৈলাক্ত তেল শোষণ করে নেয়।এবং স্পর্ট বা তেল তৈরি করতে দেয় না।

তৈলাক্ত ত্বক সম্পর্কিত অন্যান্য যত্ন

তৈলাক্ত ত্বক দূরীকরনে যত্ন নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।কারণ এই ধরনের ত্বকে অধিকাংশ সময় দেখা যায় অতিরিক্ত মাত্রায় তেল উৎপাদন করে।য়া পোরস ব্লক,ব্রণ এবং ব্ল্যাকহেডস এবং অন্যান্য বড় ধরনের হুমকির মুখে ফেলতে পারে।তবে সঠিক সময়ে মশ্চাইজার ব্যবহার এবং যত্ন নেওয়ার মাঝে তৈলাক্ত ত্বককে সুস্থ্য এবং পরিষ্কার রাখা সম্ভব।

তৈলাক্ত তেল সাধারণ ভাবে তখনি তৈরি হয়ে থাকে যখন ত্বকে সেবেসিয়াস গ্ল্যাল্ড পরিমাণের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় তেল বা সেরাম উৎপাদন করতে শুরু করে।এটি একটি প্রাকৃতিক আর্দতা যা ত্বকের তেলকে সুরক্ষিত রাখে।তবে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে মশ্চাইজার নিন:অধিক পরিমানে দীর্ঘদিন মশ্চাইজার নেওয়ার দরকার নেই।এটা ত্বকের কোমল ও মসৃণ নষ্ট করতে পারে।এক বা দুই পাম্প ব্যবহার করাই যথেষ্ট।

মৃদু ম্যাসাজ করুন:আঙ্গুল দিয়ে ভালো ভাবে মশ্চাইজার শোষিত করতে ত্বকে সাহায্য করার জন্য মৃদু ভাবে ম্যাসাজ করুন।সাধারণত নিচ থেকে উপর দিকে অথবা উপর থেকে নিচের দিকে বা আঙ্গুলের মধ্যে দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে করুন।

এলাকা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করুন:ময়লা এবং অপরিষ্কার পরিবেশে এলাকায় ভলেও জাবেন না।এই এলাকা গুলো মূলত ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।

মাস্ক বা স্ক্রাব ব্যবহার করুন:প্রতি সপ্তাহেরে মধ্যে একবার হলেও প্রাকৃতিক স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন ত্বক সেল নতুন হয় এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ থাকে।

প্রচুর পানি পান করুন:তৈলাক্ত ত্বক থেকে মসৃণ রাখতে প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়া প্রয়োজন।পানি ত্বকে হাইড্রেট রাখতে বজায় রাখে এবং রিনিউ করতে সাহায্য করে।

সঠিক ডায়েট অনুসরণ করুন:তৈলাক্ত ত্বক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভালো মানের খাবার খাওয়া উচিত।যেমন ভিটামিন C,ভিটামিন E এবং অ্যান্টি এক্সিডেন্ট।

রোদে বের হবার সময় সাইস্ক্রিন ব্যবহার করুন:তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাইস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজনীয় বা গুরুত্বপূর্ণ।যা রোদের তাপমাত্রা বা রশ্মি যা ত্বককে ক্ষতিকারক সূর্য থেকে সুরক্ষিত রাখে।

তৈলাক্ত তেলের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে মুখ ধোয়ার উপায়

তৈলাক্ত তেল সাধারণত অধিকাংশ মানুষের কাছে সাধারণ সমস্যা।যা সঠিক নিয়মে সঠিম সময় যত্ন এবং নিয়মিত পরিষ্কারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।ত্বক কোমল এবং মসৃণ রাখার জন্য প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।মুখ দোয়ার সঠিক পদক্ষেপ বা নিয়ম জানা থাকলে তৈলাক্ত ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল কমানো সম্ভব।যা ব্রণ,ব্ল্যাকহেডস এবং অন্যান্য সমস্যা করতে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।তৈলাক্ত ত্বক সাধারণত মুখে অতিরিক্ত তেল বের হওয়ার কারনে দেখা যায়।

এই তেল মুখের ছিদ্র বন্ধ করে দিয়ে থাকে।তাই মুখ কোমল রাখার জন্য পরিষ্কার করা অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।দীর্ঘদিন মুখে তেল জমে থাকার কারনে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।সময় করে সঠিক সময়ে মুখ পরিষ্কার করার ফলে ছিদ্র ফাঁকা থাকে।ব্রণ,ব্ল্যাকহেডস এবং সানট্যান ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।তবে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারন মুখ পরিষ্কার না করার ফলে আরো বেশি পরিমানে তেল দেখা দিতে পারে বা শুস্ক হয়ে যেতে পারে।

জিনগত প্রভাব:বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের মুখ প্রাকৃতিক ভাবে তৈলাক্ত ত্বক দেখা যায়।

হরমোনাল পরিবর্তন:হরমোনাল পরিবর্তন হওয়ার কারন অতিরিক্ত পরিমানে তেল বের হওয়া।বিশেষ করে মানসিক চক্র,গর্বাস্থায় এবং অন্যান্য পরিবর্তন দেখা দিয়ে থাকে।

স্ট্রেক:অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা বা মানুসিক চাপের প্রভাবে তেল উৎপাদন বেশি মাত্রায় দেখা গিয়ে থাকে।

খাবার:মিষ্টি বা তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে তৈলাক্ত ত্বক জমতে পারে।যেমন চিনি,তেল বা মসলাযুক্ত খাবার।

অন্যান্য পরিবেশগত কারণ:পরিবেশ বা প্রাকৃতিক দূষনের প্রভাবে মুখে তেল দেখা যায়।যেমন বায়ূ দূষন,আর্দতা,গরম আবহাওয়া উত্যাদি।

তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কারের গুরুত্ব

প্রথম হাত পরিষ্কার করুন:মুখ দোয়ার আগে হাত ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।হাতের ময়লা বা ব্যাকটেরিয়া মুখে যাওয়ার কারনে বিভিন্ন ধরনের স্পর্ট বা দাগ সৃষ্টি হতে পারে।তাই শুরুতে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।

সঠিক ক্লিনজার নির্বাচন করুন:তৈলাক্ত ত্বক দূর করার জন্য যেকোনো একটি নির্দিষ্ট ক্লিনজার নির্বাচন করুন।সঠিক ক্লিনজার ব্যবহারের ফলে তেল শোষণ করে থাকে।তবে মুখের ত্বককে অতিরিক্ত শুস্ক বা আক্রমণাতক ভাবে পরিষ্কার করবেন না।এমন ক্লিনজার ব্যবহার করুন যাতে মুখের কোনো ক্ষতি না হয় এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে তেল দূর করেন।যেমন অ্যাকনে ফ্রি,অয়েল ফ্রি এবং ফ্র্যাগ্রেন্স উপাদান যুক্ত।

উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন:গরম পানি মুখের মসৃণ নষ্ট করে দিতে পারে তাই উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন।গরম পানি সাধারণত মুখের ত্বকের সেবাম বাড়িয়ে দিতে পারে।এবং ঠান্ডা বা উষ্ণ পানি মুখের ত্বকের ছিদ্র ফাঁকা রাখতে সাহায্য করে।তাই তৈলাক্ত দূর করার জন্য উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন।

মুখে ক্লিনজার লাগান:মুখ দোয়ার সময় নরম করে ক্লিনজার দিয়ে ম্যাসাজ করুন।এটি মুখে জমা অতিরিক্ত তেল বা ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।তবে মুখে ভাড়ি ভাবে চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।কারন এটি ভাড়ি চাপ দেওয়ার কারনে মুখে স্পর্ট তৈরি হতে পারে।

মুখ ভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন:নির্দিষ্ট একটি ক্লিনজার ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।বিশেষ করে যে সব জায়গা তেল বেশি জমে সেই জায়গা গুলো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।যেমন নাক,থুতনি এবং কপালের মত স্থানে।

মৃদু তোয়েল দিয়ে ত্বক শুস্ক করুন:মুখ দোয়ার পর শক্ত কাপুর বা যেকোনো শক্ত জিনিস দিয়ে মুছবেন না।বরং আসতে করে মৃদু ভাবে নরম জিনিস দিয়ে শুস্ক করে নিন।যাতে ত্বকে কোনো দাগ বা স্পর্ট না পড়ে।

নিয়মিত মুখ ধোয়া:তৈলাক্ত ত্বক মুখ থেকে দূর করার জন্য নিয়মিত ভাবে দিনে দুইবার মুখ দুয়ে নিন (সকাল ও রাতে)।অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার ফলে মুখে দাগ আসতে পারে।যা ত্বকের তেল উৎপাদন আরো বেশি বাড়িয়ে দেন।তাই সঠিক নিয়মে মুখ পরিষ্কার করা উচিত কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত নয়।

উপসংসার

তৈলাক্ত ত্বক থেকে তেল দূর করার জন্য নিয়মগুলো মেনে চলুন।তৈলাক্ত তেল কিভাবে দূর করবেন সে বিষয়ে আমরা ইতো মধ্যে আলোচনা করেছি।আপনি যদি মুখ থেকে তেল সাড়াতে চান তাহলে আপনাকে সকল বিষয়ে জানতে হবে।তৈলাক্ত তেল ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যা।

আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনে যোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।আপনি যদি এই ধরনের পরামর্শ প্রতিদিন পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করে জাবেন।কারন আমরা প্রতিদিন এই ধরনের পরামর্শ এবং আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করে থাকি। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url