ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন কি
শরীরে অতিরিক্ত জ্বরের তাপমাত্রা সাধারণ ভাবে ডেঙ্গুর লক্ষন। জ্বরের তাপমাত্রা কমপক্ষে ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি হতে পারে।জ্বর একট টানা কিছু দিন শরীরে থাকতে পারে।ঘাম ঝরে জ্বর ছেরে গিয়ে আবার নতুন করে আসতে পারে।
তার ফলে শরীর ব্যথা,মাথা ব্যাথা,চোখের নিচে ব্যথা ও চামড়ার মধ্যে লালচে (অ্যাঁশ)পড়তে পারে।তবে এসবের কারন দেখা না দিয়ে থাকলেও ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে।
সূচিপত্রঃডেঙ্গু জ্বরের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন
- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
- ডেঙ্গু জ্বর কি এবং কি ভাবে ছড়িয়ে থাকেন
- ডেঙ্গু জ্বর কখন ও কাদের বেশি হয়
- ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সময় কাল
- অপচয় পানি জমিয়ে না রাখা
- ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতা
- ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভার (DHF)
- ডেঙ্গু শক সিনড্রোম(DSS)
- ডেঙ্গু জ্বরের সঠিক চিকিৎসা
- উপসংহার
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বর প্রধানত মশার মাধ্যেমে ছরিয়ে থাকে।সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাস জনিত রোগ।ভাইরাস জনিত রোগের কারনে ডেঙ্গু প্রধানত এসিড মশার মাধ্যমে প্রচলিত হয়।ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন সাধারণত ৩ দিন থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেখা দিয়ে থাকেন।ডেঙ্গু জ্বর হালকা ও তীব্র হতে পারে।শরীরের অবস্থা যদি বেশি খারাপ হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিবার বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমের মত কঠিন হয়ে পড়তে পারেন।
ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো
- চোখের নিচে যন্ত্রণা
- বমি বমি ভাব
- ফোলা গ্রন্থী
- অস্থিসন্ধি,হাড় বা পেশিতে যন্ত্রণা
- রেশ বা ফুসকুড়ি
- মাথাব্যথা
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত জ্বরের মত হলেও এতে বিশেষ ক্ষতির লক্ষন থাকে যা রোগীকে গুরুতর এবং খারাপ অবস্থার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।ডেঙ্গু জ্বর বর্তমান যুগের সময়ে সবচেয়ে পীড়াদায়ক রোগের একটি হিসাবে গননা করে হয়ে থাকে।এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ফলে যেমন শরীর দুর্বল করে তুলে অন্যদিক এই দুর্বলতার র্যঁশ দীর্ঘদিন যাবত ভুগতে হয়।তবে ডেঙ্গু সে রকম মারাত্মক কঠিন কোনো রোগ নয়।পরিশ্রম এবং নিয়ম মাহফিক জীবন যাপন উৎযাপন করলে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরো পড়ুনঃবাংলা আর্টিকেল সহজে লেখার নিয়ম সম্পর্কে
ডেঙ্গু জ্বর হবার ফলে শরীরের মধ্যে ভাইরাস প্রচলিত হয়ে থাকে যা চিকিৎসার মাধ্যমে পরিহার করতে হয়।বর্ষা এলেই যেনো মশার পরিহার উৎপত্তি বেড়ে যায় সেখান থেকেই তেরি হয় ডেঙ্গু জ্বর।এডিস মশা হলো মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ।বর্ষা মাসে এই মশার উৎপত্তি বেড়ে গিয়ে থাকে।বর্ষার পানি লোনা এবং পরিষ্কার থাকায় মশা ডিম পারে।সেখান থেকে শুরু হয় এসিড মশার সংক্রমণ।ফলে সকলের মাঝে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ে।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব সব সময় এক ভাবে প্রকাশ করে না।সময়ের ক্ষেত্রে হালকা এবং গুরুতরো হতে পারে।ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণত লক্ষণগুলো হলো অধিক জ্বর,মাথা ব্যথা বমি বমি ভাব,পেশি ব্যথা এবং ক্লান্তি।এই জ্বর অতিরিক্ত বেড়ে যাবার কারনে মৃত্যু হতে পারে।জ্বরের মাত্রা ১০৪ ফ্যারেন্ট হাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কাছাকাছি হতে পারে।
১ প্রাথমিক লক্ষণ সমূহঃ
উচ্চ তাপমাত্রা(জ্বর)ঃডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার পর প্রথমে যে বিষয় টি দেখা যা তা হলো তাপমাত্রা (জ্বর)।সাধারণত এটি ১০১°F (ফ্যারেন্ট) এবং ৪০°C ( সেলসিয়াস) পর্যন্ত পৌছাতে পারেন এবং এই জ্বরটি ৩ দিন থেকে ৫ দিন পর্যন্ত ক্ষণস্থায়ি হতে পারে।
মাথা ব্যথাঃসাধারণত মাথার পিছনের দিকে মাথা ব্যথার অনুভব হয়।এটি অনেক সময় কম এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথা করেন।তবে এটি অনেক কষ্ট দায়ক অনুভূতি হয়।
শরীর ব্যথাঃডেঙ্গু জ্বর হবার অন্যতম মাধ্যম হলো শরীর ব্যথা।বেশির ভাগ সময় দেখা যায় সাধারণত হারের ক্ষত এবং মাংস পেশিতে ব্যথা।
২ তীব্র লক্ষন সমূহঃ
বমির অনুভূতিঃঅতিরিক্ত জ্বরের প্রভাবে রোগী বমি করতে পারেন এটি ওতি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ,কারন পেটের মধ্যে থাকা সকল গ্যাস এই বমির সাথে বেড়িয়ে যায়।
তীব্র শরীরের ব্যথাঃডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বেশির ভাগ সময় তীব্র শরীর ব্যথার সম্মুখীন হন।যেমন হারের ক্ষত,পেশির ক্ষত,মাংস পেশির মতো ব্যথা।
৩ গুরুতর লক্ষণ সমূহঃ
রক্ত ক্ষরণঃদীর্ঘদিন যাবৎ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত থাকার কারনে রোগীর রক্ত ক্ষরণ হতে পারে।যেমন মূত,পায়খানা,নাক বা মারির মাধ্যমে হতে পারে।ত্বকে (অ্যাশ) রক্তের ছাপ ও দেখা যেতে পারে।
অভ্যান্তরীণ রক্ত ক্ষরণঃডেঙ্গু জ্বরের কারনে শরীরে রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়।যার ফলে রক্ত জমাট বেধে যায়।অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে শরীর দুর্বল করে দিয়ে থাকেন এবং তীর্র রক্ত ক্ষরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেন।
ডেঙ্গু জ্বর কি এবং কি ভাবে ছরিয়ে থাকেন
ডেঙ্গু জ্বর প্রথম উৎপন্ন ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বাড়া এবং অতিরিক্ত ভাইরাস জনিত এই এসিড ইজিপ্টাই মশার কারনে।ডেঙ্গুরোগের জীবানুবাহী একটি মশা অন্য আরেক জনকে কামড়ে দিলে তার মধ্যে ৪ দিন থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্য কোনো জীবানুবাহী এসিড মশা কামরালে সেই মশার মধ্যে ও তেরি হবে জীবানুবাহী মশায় পরিণত।এ ভাবে এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরের মশার কামরের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃফ্রিল্যান্সিং ইনকাম হালাল নাকি হারাম সম্পর্কে
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকেন যেমন ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার।ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন সাধারণত জ্বরের মতো করে আসলেও এটি একটি মারাত্মক ভাইরাস জনিত রোগ।সময় মতো চিকিৎসা নিতে না পারলে দীর্ঘদিন যাবং এই রোগে ভূগান্ত থাকলে মারাত্মক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।নলকূপ,ময়লা আবর্জনা থেকে যে মশা তৈরি হয়ে থাকে তাদের মধ্যে ভাইরাস বেশি থাকে এবং কামড়ে দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
এসব জায়গা থেকে উৎপন্ন হয় মারাত্মক ভাইরাস এসিড মশা।ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাবে অনেক মানুষের ত্বকে অ্যাশ লালচে দাগ দেখা যেতে পারে।এই রোগটি শরীরের যে কোনো অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ত্বকে অস্বত্বি তেরি করতে পারে।ডেঙ্গু জ্বরের ফলে শরীর অনেক ক্লান্ত এবং দীর্ঘদিন দুর্বল অনুভব হয়।এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কিছু দিন সময় নিতে পারে।মশার কামড়ের মাধ্যমেঃডেঙ্গু জ্বর সাধারণত মশার কামড়ানোর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকেন।
একটি মশা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত শরীর থেকে রক্ত গ্রহন করে এবং সেই একই মশা যখন অন্য কোনো সুস্থ মানুষের শরীরে রক্ত সংগ্রহ করে থাকেন তখন সেই মানুষের মধ্যে ভাইরাস টি ছড়িয়ে পড়েন।
মশার প্রজনন স্থানঃএডিস মশা সাধারণত নলকূপ,ময়লা আবর্জনা জমে থাকা স্থানে প্রজনন করে।তাই বাড়ির আশে পাশে যদি নলকূপ বা আবর্জন জমে থাকে যেমন বালতি,পলিথিন, কাচের বা প্লাস্টিকের বোতল,ফুলের টব এবং জমে থাকা বৃষ্টির পানি ইত্যাদি এ সকল জায়গাতে মশা জন্ম বৃদ্ধি প্রজনন করে থাকে।এবং পরিবেশের মধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারেন।
রোগী থেকে সুস্থ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়াঃএক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর সরাসরি রোগীর শরীর থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরের মধ্যে ছড়ায় না,কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত থাকেন এবং তাকে মশা কামড়ালে সেই মশার মধ্যে ও ভাইরাস তৈরি হয়।সেই মশা অন্য ব্যক্তিকে কামড়ালে তার শরীরে ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিফলিত হয় থাকেন।
ডেঙ্গু জ্বর কখন ও কাদের বেশি হয়
মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সৃজনের সময় ডেঙ্গু জ্বর বেশি দেখা দিয়ে থাকেন।শীত কালে এই জ্বর হয়না বললেই চলে।শীতকালে মশা লার্ভা অবস্থায় দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।বর্ষার সীজন শুরু হবার সাথে সাথে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাস মশার উৎপত্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে।সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের তুলনায় শহর অঞ্চলের বাসিন্দাদের বেশি হয়।গ্রাম বা বসতি এলাকায় কম হয়ে থাকে বা হয়না বললেই চলে।
আরো পড়ুনঃনগদ অ্যাপ দিয়ে সহজে ইনকাম পদ্ধতি
ডেঙ্গু জ্বর সেই সকল জায়গা বেশি দেখা যায় সে সকল যায়গা এডিস মশার উৎপত্তি বেশি হয়ে থাকে যেমন গরম ও আদ্র পরিবেশ।ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছরিয়ে থাকেন।সাধারণত এডিপটাই এবং এডিস আলবোপিকটাস প্রজাতির ভাইরাস মশা।গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষা মৌসুমে বেশি উৎপত্তি হয়ে থাকেন।বৃষ্টির পানির সাথে মশার লার্ভার বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।যেকোনো জায়গা ডেঙ্গুর অনুভব বেশি হয়ে থাকলে সেখানকার মানুষের রোগের এবং জীবনের ঝুঁকি বেড়ে গিয়ে থাকেন।
এডিস মশা রাতের অন্ধকারে কামড়ায় না।দিনের শুরুতে অর্থাৎ সকাল এবং সন্ধ্যার দিকে এডিস মশার উৎপত্তি হয়ে উঠে।এই রোগের সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
শিশু এবং বয়স্ক মানুষঃডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তাদের সাধারণত কম থাকে।বয়সের সাথে ডেঙ্গু রোগের আক্রান্ত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।শিশু এবং বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগ বেশি দেখা যায়।
গর্ভবতী মহিলাঃগর্ভাবস্থায় থাকায় শরীরের দুর্বলতা কারণে ডেঙ্গু রোগের প্রতি রোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।ফলে সংক্রমণে রোগীর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
যারা ইমিউন সিস্টেম দুর্বলঃ(যেমন ডায়াবেটিকস, কিডনি রোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি দীর্ঘস্থায়ী আক্রান্ত রোগী ব্যক্তিরা।
মশার উপদ্রব বেশি এমন অঞ্চলের মানুষঃময়লা আর্বজনা এবং নলকূপ এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি হয়ে থাকে।আদ্র পরিবেশে মশার উপদ্রব বেশি দেখা যায়।
ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সময় কাল
সাধারণত অক্টোবর ও জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের উপদ্রব অধিক মাত্রায় হয়ে থাকে।কারন এই মাস টিতে এডিস মশার উৎপন্ন হয়ে থাকে।কিন্তু বর্তমান যুগে ডেঙ্গু জ্বরের সময় কাল আরো এগিয়ে আসছে।বর্তমান এখন জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের সময় শুরু হয়ে যাচ্ছে।ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত চার থেকে দশ দিন পর্যন্ত আমাদের শরীরে স্থায়ী থাকে।ভাইরাস এডিস মশার কারনে এই রোগের কারণে উপসর্গগুলো শুরু হয়।সাধারণত আপনাদের শরীরে ৩-৭ দিনের মধ্যে শরীরের অবস্থার উন্নতি হতে থাকে।
সাবধান থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। সকল সময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে।বর্ষার সময় গরম আদ্রতার কারণে এবং বর্ষার লোনা পানির মধ্যে এডিস মোশার উৎপন্ন হয়ে থাকে তাই দেখা যায় জুলাই এবং অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি বেশি হয়ে থাকে। বর্ষার লোনা পানির মধ্যে ডিম ফুটিয়ে থাকেন।শীতের সময় ডেঙ্গু রোগের প্রভাব সে রকম একটা দেখা যায় না।
ডেঙ্গু মশাঃ ডেঙ্গু সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকেন।একটি মশা যখন একটি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করে,তখন সেই প্রবাহিত রক্ত মশার মধ্যে ভাইরাস প্রবাহিত হয়ে থাকেন। পরবর্তী সুস্থ মানুষকে কামড়ালে ভাইরাসটি তার শরীরে প্রবাহিত হয়ে যায়। যার ফলে ডেঙ্গু রোগ শুরু হয়।
প্রাথমিক বা আকস্মিক পর্যায়ঃএই পর্যায়ে তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের নিচে ব্যাথা,শরীরের পেশি ও হাড়ে ব্যথা,বমি, রেশমি ত্বক বা ডেঙ্গু রোগের কারণে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় র্যশ হতে পারে।
নিম্নমানের পর্যায়ঃশরীর থেকে জ্বর কিছুটা কমে যাওয়ার পর স্থিতিশীল হয়।তবে রক্তের মধ্যে প্লেটলেট কমতে পারে।ডেঙ্গু রোগের কারণে শরীর থেকে অনেক ভাবে রক্ত বের হতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ঃপ্লেটলেট এর সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে শরীর থেকে রক্তপাত হতে পারে।যা রোগীকে আরো দুর্বল এবং গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
অপচয় পানি জমিয়ে না রাখা
ভাইরাস জনিত এডিস মশা সাধারণত ডিম পাড়ে স্বচ্ছ পানিতে।তাই বাড়ির আশেপাশে কোথাও যেন বেশি দিন যাবত পানি জমে না থাকে।এই মশাগুলো বিল্ডিং বাড়ির ছাদে,বারান্দায়,ফুলের টবে এবং অপ্রয়োজনীয় জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে।ময়লা আবর্জনার মধ্যে ও বংশবিস্তার করে থাকে।এডিস মশা সাধারণত বর্তমান সময়ে মারাত্মক ভূমিকা পালন করছেন।বর্ষা শুরু হওয়া থেকে শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
বর্ষার পানি বাড়ির আশেপাশের সকল ডোবা ও পুকুর ভরে গিয়ে থাকে।যে কারণে এডিস মশা বংশবিস্তার বাড়ির পাশেই করতে সক্ষম হয়। অতিরিক্ত গরমের আদ্রতার কারণে অধিকাংশ মানুষ ঘরের বাইরে বসে থাকেন যার ফলে ভাইরাস জনিত এডিস মশা কামড়ানোর সুযোগ পেয়ে থাকেন সেখান থেকে উৎপত্তি ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু জ্বরের ফলে শরীরের মধ্যে অনেক ব্যক্তির রক্তে সমস্যা দেখা দিতে পারে।রুমের যেকোনো জায়গাতে অপ্রয়োজনীয় পানি রাখার কারণে সেখান থেকে এডিস ভাইরাস মশার উৎপত্তির কারণে ডেঙ্গু রোগ হতে পারে।
রুমের মধ্যে ময়না আবর্জনা রাখলে সেখান থেকেও ভাইরাস জনিত মশা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।আমাদের অসচেতন থাকার কারণে ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে।বৃষ্টির ক্ষেত্রে বাড়ির পাশ দিয়ে কোনো নালা থাকলে সে জায়গা পানি বেধে যায় সেখান থেকে উৎপত্তি হয় এডিস মশা। তাই বাড়ির যেকোনো পাত্রে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় পানি জমতে না দেওয়া।যেমন বালতি ও টায়ার ইত্যাদি।বাড়ির সকল পাত্র পরিষ্কার পরিছন্নতা রাখতে হবে।
বাড়ির পাশে কোন নালা বা নলকূপ থাকলে এখানে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।বারির সকল জায়গায় পরিষ্কার রাখতে হবে।কোন জায়গা পানি জমে থাকলে তা সাথে সাথে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।পানি এবং ময়লা আবর্জনা জমে না থাকলে ভাইরা জনিত এডিস মশা উৎপাত্তি হতে পারবে না।
পানির জমা বন্ধু রাখাঃবাড়ির আশেপাশে যেকোনো জায়গায় অপ্রয়োজনীয় পানি জমতে না দেওয়া। যেমন বালতি,টায়ার বা অন্য যেকোনো পাত্রে পানি জমতে না দেওয়া।
পাত্র গুলো নিয়মিত পরিষ্কার করাঃডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সকল পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং শুকনো রাখতে হবে।যেমন ফুলের টব,বালতি,পানি রাখার পাত্র।
বৃষ্টি পরবর্তী পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাঃবৃষ্টির পানি যেনো বেঁধে না থাকে তার জন্য বাড়ির ছাদ বা বাড়ির পাস দিয়ে পানি চলাচলের সঠিক ব্যবস্থা রাখা।
মশার প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়াঃরুমের চারিদিকে মশারি,কোয়েল এবং স্প্রে ব্যবহার করে ভাইরাস জনিত এডিস মশার উপদ্রব কমানো।
ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতা
ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা এডিস মশার প্রজাতির কামড়ানোর মধ্যে দিয়ে ছরিয়ে থাকেন।এবং এটি উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে বিশেষভাবে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েন।ডেঙ্গু ভাইরাস চার প্রকার যেমন (ডেঙ্গু ১ ২ ৩ ৪) রয়েছে এবং কোন এক প্রকারের সংক্রমন পরবর্তী অন্য রোগে সংক্রমণ হলে এটি আরো বেশি ক্ষতির লক্ষণ হতে পারে।সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরের পরে সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে দিতে পারেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত থাকার কারণে জীবনঘাতি হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ যেমন জ্বর, মাথা ব্যথা,ত্বকে র্যাশ ও নাগ ও মাড়ি থেকে রক্তপাত ইত্যাদি আওতার অন্তর্ভুক্ত।ডেঙ্গু জ্বর শরীরে দীর্ঘদিন থাকার ফলে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।যা জীবনের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কিডনি সমস্যাঃডেঙ্গু রোগ কখনও কখনও কিডনির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।সাধারণত দীর্ঘদিন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত থাকার ফলে শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে যায় এবং তরল সঞ্চালনে তৈরি করতে বাধা সৃষ্টি হয়।কিডনিতে ক্ষতির লক্ষণ দেখা দিলে ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হতে পারে।
লিভার ফেইলিউরঃডেঙ্গু রোগ সাধারণত লিভারের কার্য ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।যার ফলে লিভার ক্ষতির কারনে ফেইলিউর হতে পারে।এটি একটি মারাত্মক বিপদজনক গুরুতর অবস্থা।এবং এর জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
নিউরোলজিক্যাল সমস্যাঃডেঙ্গু ভাইরাস রোগের কারনে মাঝে মধ্যে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।এর কারণে মানুষের শরীরে বিভিন্ন অংশে যেমন মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং মেনিনজাইটিস বা অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভার (DHF)
ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভার(DHF) হলো ডেঙ্গু জ্বরের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিপদজনক জীবনযাতী রুপ।এই রোগের ফলে রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হতে পারে।DHF সাধারণত ডেঙ্গু রোগের দ্বিতীয় তৃতীয় ধাপে দেখা যায়।প্রথম আক্রান্ত হবার ফলে গুরুতর অবস্থার শিকার না হলেও দ্বিতীয় বার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে তার প্রভাব বিপদজনক এবং অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে।শরীরে যখন আগে তৈরি হওয়া রোগ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী আন্টি বডি তৈরি হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃসহজে জিমেইল খোলার নিয়ম সম্পর্কে
এই অ্যান্টিবডি যখন নতুন ভাইরাসের সঙ্গে একত্রিত করে এবং এটি রক্তনালি ও রক্তকোষের দেওয়ালে ক্ষতি করে থাকেন।এর ফলে শরীরের মধ্যে রক্ত চলাচল করতে ব্যর্থ হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে দাড়ায়। যার ফলে ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভার রোগ হতে পারে।এটি একটি জীবনযাতী রোগ যা মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।
DHF এর লক্ষণ সমূহ
উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরঃ১০২°-১০৪° ফ্যারেনহাইট (৩৮.৮-৪০ সেলসিয়াস) পর্যন্ত হয়ে থাকে।
রক্তপাতঃশরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত হতে পারে যেমন দাতের মাড়ি,নাক,মূত্রনালী,অন্ত্রের রক্তপাত ইত্যাদি।
চামড়ার নিচে রক্ত জমাটঃডেঙ্গু রোগের কারণে ত্বকে রক্ত জমাট হওয়া বা পিটিচিয়া তৈরি হতে পারে।
প্লেটলেটের মাত্রা কমে যাওয়াঃশরীর থেকে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যেতে থাকে।যার ফলে রক্ত জমাট বাধতে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
লিভারের ক্ষতিঃভাইরাস জনিত ডেঙ্গু রোগের কারণে লিভারের কার্য ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যার ফলে লিভার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
(DHF) এর চিকিৎসা
হাসপাতালে ভর্তি করাঃDHF আক্রান্ত রোগীদের যত দুরত্ব সম্ভব হসপিটালে ভর্তি করা এবং তৎকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া।
প্লেটলেট ট্রান্সফিউশনঃরোগের কারণে প্লেটলেট সংখ্যা কমে গেলে তা আবার পুনরায় প্লেটলেট ট্রান্সফিউশন করা যায়।
তরল থেরাপিঃরোগী শরীর থেকে তরল কমে যাওয়ায় নতুন করে আবার রোগীর শরীরে তরল পর্যাপ্ত পারিমানে দেয়া হয়।যাতে রোগের শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা যায় এবং ত্বকের কার্য ক্ষমতা বজায় থাকে।
মেডিকেল পর্যবেক্ষণঃরোগীর অবস্থা গুরুতর বিপদজনক হয়ে পড়লে তৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম(DSS)
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS) হলো ডেঙ্গুর মারাত্মক জটিলতা,যার ফলে রক্ত চলাচলের হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে।DSS হচ্ছে একটি বিপদজনক অবস্থা।যা যদি সময় মতো চিকিৎসার পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে এটি মারাত্মক বিপদজনক বা মৃত্যু ঘটাতে পারে।এটি সাধারণত প্লেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে দেখা যায়(রক্ত শূন্যতা)।
DSS ঘটে যখন শরীর থেকে রক্তপাত শূন্য হতে শুরু করে এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিক নিয়ম ভাবে যখন রক্তপাত,অক্সিজেন পায়না।শরীর থেকে ঠিকভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিলে শক অবস্থা তৈরি হয় এবং রোগী বিপদজনক ভাবে প্রানঘাতী অবস্থায় চলে যেতে পারে।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম(DSS) লক্ষণ সমূহ
রক্তপাত কমে যাওয়াঃডেঙ্গু রোগের কারনে শরীরে রক্তচাপ মারাত্মক ভাবে কমে যাওয়া এবং রক্তশূন্যর কারনে শক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তীব্র ব্যথাঃসাধারণ ভাবে পেটের মধ্যে অধিক মাত্রায় ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
অজ্ঞান বা মানসিক অবস্থা পরিবর্তনঃশরীর থেকে অধিক মাত্রায় রক্ত ক্ষরণের ফলে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে যায় এবং রক্ত শূন্যতার কারণে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম(DSS) প্রতিরোধ
প্রতিরোধ মশার লার্ভা নিধনঃঘর ও আশে পাশে ময়লা আবর্জনা এবং নলপূপ পরিষ্কার রাখা।
মশারি ব্যবহারঃডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মশারি এবং কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করুন।
মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণঃবাড়ির আশেপাশে বা যে কোন জায়গা পানি জমতে না দেওয়া। পানির মধ্যে থেকে মশার প্রজনন করতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের সঠিক চিকিৎসা
প্যারাসিটামলঃআপনাদের শরীরে মাঝে মধ্যে জ্বর আসার ফলে যে রকম প্যারাসিটামল গ্রহন করে থাকেন সেই একই ভাবে প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর নামিয়ে রাখতে হবে। জ্বর নামিয়ে ১০০°সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখলেই হবে।অতিরিক্ত জ্বর শরীর থেকে নামানোর প্রয়োজন নেই (যেমন ৯৭)।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়।অন্যান্য ঔষধ যেমন এনএসআইডি(ডাইক্লোফেনাক ইন্ডোমেথাসিন)শরীর থেকে ঘাম জড়ানোর মাধ্যমে দূরত্ব জ্বর কমিয়ে দিতে পারেন কিন্তু কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।খাদ্যনালী, রক্তপাদ ক্ষরণ বেড়াতে যাওয়াতে জীবনের ঝুঁকে নিয়ে আসতে পারে।
তাই ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে সাপোজিটরি নিলে শুধু প্যারাসিট্যামল ব্যবহার করতে হবে অন্য কোনো ঔষধ খাওয়া যাবে না।প্যারাসিটামল চার ডোজে ভাগ করে প্রতিবারে ৫০০ মিলিগ্রাম খাওয়া উচিত।তারপরেও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে (যেমন ১০২)তৎক্ষণিক এক হাজার মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত।
পানিঃদীর্ঘদিন যাবত সর্বনিম্ন ৩ লিটার পানি পান করতে হবে।ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে প্যারাসিটামল ও পানি আসল চিকিৎসা।জ্বরের সময় ক্ষুধা অনুভব মন্দা হয়ে থাকে।সে ক্ষেত্রে ফলের রস খুবই উপকারী যা অল্পতে শরীরের মধ্যে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি উৎপন্ন করে থাকে।
সতর্কতাঃভাইরা জনিত ডেঙ্গু মশা সাধারণত বাড়ির গৃহপালিত জীবজন্তু,চকির নিচে, পর্দার ভাজে বেসিনের নিচে আড়াল করে থাকে।পুকুর,বর্ষার পানি,সাগর বিলের পরিষ্কার পানি,এসব জায়গা উৎপত্তি নয়।বাড়ির ফুলের টবের নিচে জলকান্দার পানিতে,বৃষ্টির সময় পেপসির ক্যান,নারকেলের খোলায় এসব বস্তুর মধ্যে বাড়ির পাশে জমে থাকা পানিতে উৎপত্তি করে থাকে।
প্রতিরোধঃডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ করতে ঘরে বেসিনের নিচে, চকির নিচে, পর্দার মাঝে এবং বাকি সকল জায়গা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরে মশার ঔষধের মেশিন ব্যবহার করুন।দিনের বেলায় ঘুমাতে চাইলে মশারি লাগিয়ে ঘুমান।
উপসংহার
ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষা পেতে যে সকল চিকিৎসা বা নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজনীয়।ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি কি পদক্ষেপ নিতে পারেন সে সম্পর্কে ইতো মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি।আপনি যদি ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে চান তাহলে সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য ময়লা আবর্জনা এবং পানি জমতে দেওয়া জাবে না।এবং পাশাপাশি কয়েল,মশারি এবং স্প্রে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মূল্যবান সময় নিয়ে সম্পূর্ন পোস্ট টি মনেযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্যাক ধন্যবাদ।আপনি যদি প্রতিদিন এই ধরনের রোগ প্রতিরোধের ধারণা পেতে চান তাহলে ফলো করে রাখবেন।কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইট পেইজে রোগ প্রতি রোধের পরামর্শ এবং স্বাস্থ্য মূলক আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করে থাকি।
লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url