কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়


পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রথমে খাওয়ার ধরন পরিবর্তন নিয়ে আশা গুরুত্বপূর্ণ।প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ফল,সবজি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি(অলিভ অয়েল,বাদামি বাদাম)বেশি খাওয়া দরকার।

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

পেটের চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম করা অপরিহার্য।যেমন (দৌড়ানো,সাইক্লিং,সাঁতার কাটানো)।প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি প্রান করা গুরুত্বপূর্ণ।খাবারের মধ্যে চিনির পরিমান কমাতে হবে। 

সূচিপত্রঃ পেটের চর্বি কমানোর পদ্ধতি এবং উপায়

পেটের চর্বি কমানোর করণীয়

পেটের চর্বি একটি বিব্রতর বিষয়।স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যাস্ত হলে পেটের চর্বি কমানো সম্ভব।তার আগে আমাদের জানতে হবে কি ধরনের খাবার থেকে পেটের চর্বি বাড়তে পারে।সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবার,কোমল পানি,তেল জাতীয় খাবার,অতিরিক্ত খাবার খাওয়া।অস্বাস্থ্যকর বাহিরের খাবার পেটের চর্বি বারাতে ভূমিকা পালন করে।তাই আমাদের যে কোনো খাবার খাওয়ার আগে সব কিছু যাচাই বাচাই করে খেতে হবে।তেল জাতীয় এবং বাহিরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারন বাহিরের খাবের প্রচুর পরিমানে তেল জাতীয় প্রোটিন থাকে।

আরো পড়ুন:ফ্রিল্যান্সিং হালাল নাকি হারাম সম্পর্কে

 নিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস এবং সঠিক জীবনযাপনের মধ্যেমে  আমরা আমাদের  পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।গ্রীন চা এর মধ্যে রয়েছি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা পেটের চর্বি কমাতে খুব বেশি কার্যকর।কাঠ বাদাম ও সামগ্রিক মাছ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস।তাই এসব খাবার চর্বি কমাতে কার্যকর।সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চুষে খান।এই অভ্যাসের মাধ্যমে শরীরের ওজন এবং চর্বি  কমবে।কাঁচা রসুন শরীরের রক্তপ্রবাহ পরিষ্কার রাখেন।শরীরে মেদ ও চর্বি জমতে দেয়না।

অনেকেই খাবার খাওয়ার পর শুয়ে বসে থাকেন।যার কারনে খাদ্য শরীরে সঠীক ভাবে পরিপাক হয় না ফলে চর্বি জমতে থাকে।তাই খাবার খাওয়ার পর কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় হাঁটাহাঁটি করা উচিত।যারা বেশির ভাগ সময় টেবিল চেয়ারে বসে কাজ করেন তাদের কমপক্ষে প্রতিদিন ২৫-৩০ মিনিট কাজ করার পর ৫-১০ মিনিট সময় হাঁটাহাঁটি করা উচিত।এতে পেটে চর্বি জমবে না। অতিরিক্ত বসে থাকার কারনে পেটে চর্বি জমতে পারে।

গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা :সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ঘন কফি বা চা খেলে শরীর ও মেজাজ ভালো করে দেয়।শরীরের ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ঘুম উঠে গরম পানির সাথে লেবুর রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।লেবুর রস যেমন হজম বা শক্তি যোগায় তার সাথে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।এছাড়াও চর্বি কমাতে দ্রুত সহায়তা করে থাকেন।গরম পানিতে লেবু খাওয়া কষ্ট দায়ক মনে হলে এক চামচ মধু যোগ করতে পারেন।

প্রতিদিন জ্বিরা পানি খাওয়ার অভ্যাস করুনঃসকাল নিয়ম করে পানীয় হিসাবে জ্বিরা পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।এটা গ্যাসের কারনে বা যে কোনো কারনে পেট ফোলাভাব থাকলে কমিয়ে ফেলেন এবং চর্বি থাকলে কমাতে সহায়তা ভুমিকা পালন করেন।

শস্য জাতীয় খাবার খাওয়াঃশস্য জাতীয় খাবার মূলত হয়ে থাকে আঁশ সমৃদ্ধ।এটা শরীর সুস্থ্ সবল রাখার পাশাপাশি ক্ষুধার অনুভম কমিয়ে দেন এবং উচ্চ ক্যালোরিবহুল খাবারের অভ্যাব পূরনে সহায়তা ভূমিকা পালন করে থাকেন।উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ শস্য ওজন কমাতে এবং তার পাশাপাশি চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকেন।

পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাসঃওজন এবং চর্বি কমাতে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।শরীর সুস্থ সবল এবং সুন্দর জীবনযাপন উৎযাপন করার করার জন্য বা অস্বাস্থ্যকর খাবের চাহিদা কমিয়ে থাকেন।খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করলে চর্বি জমা হওয়ার ঝুঁকি থেকে  রক্ষা করেন।

অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাবেন না

দিন দিন শরীরের গঠন যেনো স্বাস্ব্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অতি ওজন।শরীরের গঠন ঠিক রাখতে হলে ওজন বাড়তে দেওয়া জাবে না।অনেকেই আছেন যারা ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকেন এবং একবেলা বা দুই বেলা রুটি খেয়েও দিন পার করছেন।শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে ওজন কমানো খুবই কঠিন।দিনের যে কোনো বেলা যেমন সকালের নাস্তা বা রাতের খাবার  খাওয়া বাদ দেয়া জাবে না প্রয়োজনে সারা দিনের খাবার ছোট ছোট মিল করে হলেও খাওয়া উচিত।

অতিরিক্ত-এবং-অপ্রয়োজনীয়-খাবার-খাবেন-না

এতে শরীরের মধ্যে কোনো ধরনের ক্লান্তি বা দুর্বল কোনো কিছুই কাজ করবে না বরং ডায়েট করতে সহজ হবে।প্রথমে খাবারের তালিকা থেকে অপ্রয়োজনীয় খাবারগুলো বাদ দিন এবং বাহিরের খাবার ত্যাগ করুন।যেমন ফাস্ট ফুট,তেল জাতীয় ভাজি পোড়া,কেক,আইসক্রিম, চকলেট ইত্যাদি এগুলো আপনার চর্বি জমতে কার্যকর বৈ উপকার করে না।এবার যুক্ত করুন আপনার প্রয়োজনীয় খাবার লিস্ট ।যে গুলো খেলে চর্বি এবং কোনো ক্ষতি হবে না। যেমন শাক সবজি,ফল মূল, দুধ,ডিম,কলা,আনারস,দই ইত্যাদি।

শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।যেমন সাদা ভাত,সাদা ময়দার পরোটা বা পারুটি।নিরামিষ খাদ্যর সাথে যুক্ত করতে পারেন কিছু অংশ আমিষ।শরীরে ডায়বেটিস থেকে থাকলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বিবেচনা করে খাবেন।বাহিরের খোলা চানাচুর,পটেটো,আইসক্রিম,কেক ইত্যাদি এবং অন্যান্য যে কোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দুরে থাকবেন এবং খাবেন না।

তেল যুক্ত খাবারঃআমরা ঘরে বা বাহিরে তেল জাতীয় ভাজা পোড়া খেতে পছন্দ করি।খেতে সুস্বাদু হলেও শরীরের জন্য ক্ষতি কর এবং পেটে চর্বি জমায়।তাই আপনি এসব খাবার ত্যাগ করে ফল মূল,শাক সবজি খাওয়া উচিত।এতে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং চর্বি জমার কোনো আকাঙ্কা থাকবে না।

ভাড়ি খাবারঃচর্বি,ওজন কমানোর জন্য এমন সকল খাবার যাচাই করতে হবে যে খাবার হজম শক্তি ধীরে ধীরে।খাবার হজম শক্তি ঠিক থাকলে চর্বি এবং ওজন বাড়ার কোনো ভয় নেই।আমরা জানি চর্বি এবং ওজন কমাতে শাক সবজি বা ফলমূল  খাওয়া ভালো কিন্তু সব ধরনের সবজি বা ফল ভালো নয়।

শাকপাতার ব্যবহারঃওজন কমাতে প্রতিদিন শাক খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় খাবার তালিকার মধ্যে বেচে নিতে পারেন যে কোনো ধরনের শাক।কিছু কিছু মানুষ বলে থাকেন রাতে শাক খাওয়া ভালো নয় এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বা কোনো সমাধান আজ ও কেউ দিতে পারেনি।

আইসক্রিমঃঅতিরিক্ত আইসক্রিম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতি কারক।খেতে সুস্বাদু লাগলেও চর্বি জমাতে সাহায্য করে।আইসক্রিম এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্যালোরি।আইসক্রিম তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের পদার্থ দিয়ে যার মধ্যে মিশানো থাকে অধিক পরিমানে ক্যালোরি।প্রতিদিন আইসক্রিম খাওয়ার ফলে পেটে চর্বি জমবে দ্রুত।

সুস্বাস্থ্য জীবনযাপন গড়তে ঘুমের রুটিন বদলে ফেলুন

 আমাদের শরীরের গঠন ঠিক রাখতে যেমন ঘুম প্রয়োজন ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ঘুমানোর কারনে আমাদের শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসে। প্রতিদিন ঘুমানোর নিয়ম ৭-৮ ঘন্টা আবশ্যক।আমরা যখন সময় মাহফিক ঘুমাবো এবং সময় মত নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠবো। তাহলে আমাদের শরীরের মধ্যে কোনো ক্লান্তি কাজ করবে না।অতিরিক্ত ঘুমানোর কারনে পেটে চর্বি জমে যেতে পারে। চর্বি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ব্যায়াম করতে হবে এবং কিছু পরিমানে খাবার খেতে হবে, না খেয়ে থাকা জাবে না।

সারাদিন নানা রকমের কাজকর্ম করার পর ক্লান্ত শরীর বিছানায় এলিয়ে দেই।গবেষণায় দেখা যায়,আপনি প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা এবং সর্বোচ্চ ৯ ঘন্টা পর্যন্ত পর্যন্ত ঘুমাতে পারেন।আবার আপনি কখন গুমাতে যাচ্ছেন কখন উঠছেন তা আপনার শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।ঘুমের প্রভাব আপনার শরীরের ওজনের উপর ফেলতে পারে।অনিয়মিত ঘুমের অভাবে আপনার শরীরে ক্ষতির লক্ষন প্রবাহিত হতে পারে।

য়ারা দিনের বেলায় ঘুম পারেন এবং ব্যায়াম করেন না তাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি খারাপ অবস্থা হতে পারে।যাদের ঠিক মতো ঘুম হয়না তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম করে ব্যায়াম করবেন এতে কিছুটা উপকার পেতে পারেন।নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে ঘুম ভালো হয় এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।আর জদি চর্বি বা ওজন কমাতে চান তাহলে ঘুমানোর মতো বদ অভ্যাস থেকে দুরে থাকবেন।

অনিয়ম ভাবে ঘুম পাড়ার কারনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।(যেমন কোমরের পড়িধি এবং বিএমআই)।যারা অতিরিক্ত রাত যেগে থাকেন এবং ২-৩ দিন পর ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে সংগৃতী হতে থাকে নানা ধরনের সমস্যা।এর মধ্যে রয়েছে গড় রক্তপাত,বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই)পেটে চর্বির স্তর।সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং মোবাইল বা অন্য ডিভাইস ঘুমানোর ৩০-৪০ মিনিট আগে দুরে রেখে দিন।

ঘুমের গুনগত মানঃঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত ঘুমের কারনে পেটে চর্বি বাড়তে পারে।ঘুমানোর জন্য প্রতিদিন  ৭-৮ ঘন্টার পরামর্শ দেয়া হয়।ঘুমানোর মান উন্নতি করার জন্য একটি নিয়ম নিতী মেনে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃঘুম থেকে উঠে প্রথমে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা দৌড়ানো, হাঁটা এবং অন্য কোনো শারীরিক কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়ুন।পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে বিসার্ক্স ও প্ল্যাঙ্ক ব্যায়াম করতে পারেন।

পেটের ব্যায়ামঃপেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে ক্রাঞ্চ,প্লাঙ্ক ও লেক রেইজ ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারেন।ব্যায়াম করার মাধ্যমে চর্বি কমানো সম্ভব।

চর্বি এবং ওজন কমানোর উপায়

শরীরের অতিরিক্ত ওজন বা পেটের চর্বি কারো কাম্য নয়।অনেকেই আছেন যারা প্রচুর পরিমানে অর্থ খরচ করেও চর্বি,ওজন কমাতে পারছেন না।চাকরি করার সময় অনেকেরই ওজন,চর্বি কমানোর প্রয়োজন পরে।এমন ও কিছু চাকরি রয়েছে যেখানে শরীরের ওজন জরুরি বিষয় হিসাবে দেখা দেয়।ওজন বেশি থাকার কারনে কোনো জায়গা গিয়ে শান্তি পাওয়া যায় না। শরীরের মধ্যে যেনে বিরক্তিকর অনুভব হয়।শরীরে ওজন বাড়ার সাথে পেটের চর্বি বৃদ্ধি পায়।চর্বি বেড়ে যাওয়ার কারনে সকল সময় যেনো পেটের উপর দিয়ে মেদ উঠে থাকে।


আবার অনেক ক্ষেত্র বিষয়বস্তু রয়েছে যার জন্য ওজন কমাতে হয়।নিজেকে সুস্থ সবল রেখে প্রতিমাসে ৩-৪ কেজি ওজন কমানো যায় এবং তার পাশাপাশি চর্বি ও কমানো সম্ভব।অল্প সময়ের মধ্যে যদি ওজন,চর্বি দুটো এক সাথে কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে এবং খাবার নিয়ম করে খাইতে হবে।বাহিরের খাবার ত্যাগ করতে হবে।  প্রয়োজনীয় খাবার ছারা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।এক মাসের মধ্যে চর্বি কমাতে চাইলে কিছু পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে।শুধু খাবারই নয় পুরো জীবন টাকেই একটা অভ্যাসে পরিনত করতে হবে।

আপনি যদি নিয়ম মেনে চলতে পারেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে ওজন,ভুরি কমাতে আবশ্যক হবেন।তেল জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার কারনে অল্প দিনের মধ্যেই চর্বি বেরে গিয়ে থাকে।বাহিরের খাবার আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় খেয়ে থাকি যার কারনে আমাদের শরীরে ওজন,চর্বি বেড়ে গিয়ে থাকে।ওজন,চর্বি ঠিক রাখার জন্য আমাদের এই সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।সকালে ব্যায়াম করতে হবে এবং নিয়ম গুলো মেনে চলার মাধ্যমে আমরা ওজন,পেটের চর্বি কমাতে সক্ষম হবো।

ব্যায়ামের নিয়মঃসকালে এবং বিকেলে ব্যায়াম করার শুরুতে প্রথম ১ মিনিট ধীরে ধীরে হাঁটুন এরপর আসতে আসতে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিন এবং ৩০ সেকেন্ড হাঁটুন।আবার প্রথম নিয়ম মেনে ১ মিনিট ধীরে এবং আসতে আসতে গতি বাড়িয়ে ৩০ সেকেন্ড হাঁটুন।এই ভাবে প্রতিদিন ১০-২০ মিনিট। 

দৌড়ানোর উপকারিতাঃওজন কমানো বা চর্বি কমাতে ভুমিকা রাখার পাশাপাশি দৌরানোর মাধ্যমে শারীরিক কর্মকান্ড ও পেশি শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে থাকেন।প্রতিদিন সকাল বা বিকেলে ৫-১০ মিনিট দৌড়ানোর ফলে সার্বিক অকালমৃত্যু ও হিদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকেন।শরীরের ওজন যত কম হবে দৌড়ানোর মাত্রা তত বাড়বে।

সাঁতার কাটানোর উপায়:ঘুম থেকে উঠার পর সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে সাঁতার কাটতে পারলে পেটে চর্বি থাকলে তা শক্তিতে পরিণত হবে।সাতারে বডি মুভমেন্ট অনেক বেশি তাই জমে থাকা চর্বি সাতার কাঁটানোর মাধ্যমে ভুমিকা পালন করেন।

লেবু খাওয়ার মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানোর পদ্ধতি 

লেবু খাওয়ার মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে এটি একটি সহায়ক পদ্ধতি হতে পারে।লেবুতে ভিটামিন সি,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট রয়েছে। যা পেটের চর্বি কমাতে এবং শরীরের গঠন ঠিক রাখতে বা স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড,মেটা বলিজম উন্নত করে।যার কারনে শরীরে শক্তি সঞ্চিত খরচ বাড়ে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।লেবু নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে চর্বি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

লেবু হজম করতে সাহায্য করেঃলেবু চুষে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়,এবং গ্যাস জাতীয় কিছু থাকলে দুর করতে সাহায্য করে।লেবু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে কোনো বর্জ্য থাকলে তা হজমের মাধ্যমে বের যেতে পারে এবং চর্বি কমাতে সহায়ক হতে পারে

লেবুর পানি খাওয়ার উপকারিতাঃপ্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাসের অর্ধেক লেবুর রস গরম করে প্রতিদিন সকালে খাওয়া যেতে পারে।এটি হজম শক্তি বাড়ায় এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।লেবুর পানি শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

লেবু এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতাঃসকালে এবং বিকেলে নিয়ম করে প্রতিদিন এক গ্লাস পানি এক চামচ মধু বা লেবুর রস খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।মধু শরীর গরম রাখতে এবং লেবু পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

লেবু ও আদা খাওয়ার উপকারিতাঃলেবু ও আদা মিশিয়ে খাইলে পেটের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।আদা মূলত মেটা-বলিজম বাড়ায় এবং পেট ফোলা থাকলে তা হজম করতে বা ফোলা কমায়।চর্বি কমাতে ব্যায়াম এবং ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। 

বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে চর্বি কমানোর উপায়

বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে চর্বি কমানোর জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে,কারন বাদাম স্বাস্থ্যর জন্য যেমন উপকারি তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য চর্বি।প্রোটিন-ফাইবার এবং অন্যান্য উপাদান দ্বারা সমিদ্ধ।সকাল বা বিকেল বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়।স্বাস্থ্যের দিক দিকে বাদাম একটি ভালো বিকল্প।আপনি মিষ্টি বা যে কোনো খাবারের সাথে ছাড়াই বাদাম খেতে পারেন।সুধ সাধু খাবার হিসেবে কাচা বা ভাজা বাদাম খেতে পারেন।এইভাবে বাদাম খাওয়ার মাধ্যেমে আপনি ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে পারবেন।

বাদাম ও দেহের বিপাকঃগবেষণা করে দেখা গিয়েছে বিদাম খাওয়ার ফলে শরীর বিপাক বৃদ্ধি ঘঠায় যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।বাদাম খাওয়ার ফলে পেট ফুলে থাকে এবং খুদার কোনো অনুভব হয় না।বিশেষ করে,আখরোট,পেস্তা বা বাদাম এই দিক থেকে উপকারি। 

বাদাম খাওয়ার আদর্শ পরিমাণঃবাদাম খাওয়ার পরিমান বেশি হলে পেট ফুলে যেতে পারে এবং ক্যালোরি বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া ত্যাগ করুন এবং নিয়ম মাহফিক ভাবে খাবেন।
 
বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়ঃসকাল বা বিকেলে প্রতিদিন ২০-৩০(প্রায় এক মুঠো) বাদাম খাবেন।বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে একটি ভালো বিকল্প।আপনি মিষ্টি জাতীয় খাবার ছাড়াই বাদাম খাইতে পারেন।

শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বিঃবাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি (যেমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড) থাকে।যা রিদরোগের ঝঁকি কমাতে সাহায্য করে।এই ধরনের চর্বি আমাদের শরীরে জমে না বরং মেটা বলিজম বৃদ্ধি পায় যা শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

পেটের চর্বি থেকে ক্ষতির লক্ষন 

পেটে জমা চর্বি 'ভিসারাল ফ্যাট' নামে পরিচিত।চর্বির মেয়াদ বেশি দিন হয়ে গেলে নারী-পুরুষ উভয়ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুকে বেড়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদি চর্বি থাকলে তা 'ফ্যাটি লিভার ডিজিজ নামে পরিচিত'।এটি প্রধানত ক্যান্সারে পরিনত হতে পারে।পেটের চর্বি রক্তনালির মাঝে ভাইরাস তৈরি করতে পারে ফলে সময়ের সাথে অল্প দিনের মধ্যেই শরীরে রোগ ছরিয়ে পড়তে পারে।রোগ প্রতিরোধ করতে গিয়ে তার আগেই ভাইরাসটি শরীরের ক্যান্সার এ ছরিয়ে দিয়ে পারে।

চর্বির সাথে সম্পৃক্ত ক্যান্সারগুলো হলো স্তন ক্যানসার,ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এবং জরায়ু ক্যান্সার পুরুষদের মধো প্রোস্টেট ক্যান্সার ছরিয়ে পড়তে পারে এবং উভয়লিঙ্গে অগ্ন্যাশয় এবং মলাশয় ক্যান্সার ছরিয়ে পরে।চিকন হওয়া ক্ষেত্রে ও অনেকের চর্বি দেখা যায় যা ভিসারাল ফ্যাট নামে পরিচিত।শরীরের চর্চা সময় মতো না করার কারনে চর্বি জমে যেতে পারে।পেটের চর্বি স্বাস্থ্যর জন্য ভয়ানয় বিপদজনক।সবচেয়ে খারাপ লক্ষন হলো পেটের চর্বি সবাবের মাঝে প্রচলিত হতে পারে এমন কি যার অন্য কোথাও চর্বি নেই।


চর্বি জমে থাকার কারনে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ বা ভাইরাস তেরি হতে পারে।যার কারনে ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।চর্বির লক্ষন দেখা দিলে অল্প  থেকে পরামর্শ নিবেন।
হাইপারটেনশনঃঅতিরিক্ত চিন্তিত থাকার কারনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়তে পারে।অতিরিক্ত রক্তচাপের কারনে স্ট্রোক করতে পারেন।র

পেটের অস্বস্তিঃচর্বি দীর্ঘদিন যাবৎ বা অতিরিক্ত হবার কারনে পেটে বেশির ভাগ সময় গ্যাস এবং ফুলে থাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা আমরা গ্যাস হিসাবে অবহেলা করি।

মেজাজের পরিবর্তনঃঅতিরিক্ত পেটের চর্বি হবার কারনে হরমোনাল ভারসাম্য বিঘ্নিত করে।বেশির ভাগ সময় ডিপ্রেশনে থাকার কারনে মানসিক চাপ ও বিষণ্নতার প্রভাব পড়তে পারে।

সংযোগী অসুস্থতাঃদীর্ঘদিন  যাবৎ পেটে চর্বি হবার কারনে পেটে কিডনি,লিভার বা অন্যান্য বাকি অংশের অভ্যান্তরীণ ক্ষতি হতে পারে।আপনি যদি এসব লক্ষনের সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে জীবনযাত্রার কিছু অংশ পরিবর্তন সুষম খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমানো।

খাবার খাওয়ার নিয়ম মেনে চলুন

চর্বি কমানোর জন্য মানুষ বেশির ভাগ একটা সময় মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন।ব্যায়াম এবং ডায়েট করার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশের চর্বি কমে থাকলেও পেটের চর্বি কম কমে থাকে।মাঝে মধ্যে দেখা যায় ব্যায়াম করার ফলেও সে রকম কোনো উন্নতি দেখা যায় না।আমরা চর্বি কমানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করে থাকি।ব্যায়ামের পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় খাবার তালিকা থেকে দুরে রাখতে পারলে চর্বি কমাতে পারবেন।চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পারুটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

পারুটির মধ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন যা আমাদের শরীরে চর্বি জমতে সাহায্য করে।ডায়েট সোডাকে চর্বি কমাতে খাদ্য তালিকা থেকে ত্যাগ বা বিরত রাখতে হবে।বাজারে বিভিন্ন ধরনের  রস পাওয়া গিয়ে থাকে যার মধ্যে অতিরিক্ত চিনি মিশানো থাকে। এই শরবত শরীরে ভিসারেল চর্বি জমায়।শরবত চিনি মুক্ত ছারা খাওয়া যেতে পারে।

কাজু বাদাম এর উপকারিতাঃশরীরে চর্বি বা ভাইরাস থাকলে কোলেস্টেরলে পরিবর্তন করে থাকে কাজু বাদাম।অতিরিক্ত তেল থাকলে নিজের কন্ট্রোলে নিয়ে আসে। কাজু বাদাম।তাই ডায়েটের সাথে অতিরিক্ত কাজু বাদাম না খেয়ে প্রতিদিন ৪-৫ টা কাজু বাদাম খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

কিশমিশঃস্বাদে মিষ্টি জাতীয় খাবার বলে ফ্যাট আসার ভয়ে অনেকেই সরিয়ে রাখেন।আসলে চর্বি কমাতে কিশমিশ এর অনেক ভুমিকা অসীম রয়েছে।কিশমিশ খাওয়ার শুরুতে শরীরের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রচলিত হতে শুরু করে।তাই নিয়ম করে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকায় কিশমিশ ৩-৪ টি রাখতে পারেন।

খেজুরঃব্যায়াম করার ক্ষেত্রে উচ্চ ক্যালোরি হিসাবে অবধান বেশি রাখে খেজুর।ভারি খাবার হওয়ার ফলে ক্ষুধা কম লাগে।কয়েকটি খেজুর গ্রহন করলে অনেক সময় ধরে ক্ষুধার অনুভব কমিয়ে রাখতে পারে।তাই প্রতিদিনের জন্য ৪-৫ টি খেজুর রাখবেন।এতে ওজন কমবে।

মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে চর্বি 

 মিষ্টি জাতীয় খাবার অধিক সময় ধরে বা দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়ম করে খেলে তার প্রভাব ভালো দেখা যায় না।মিষ্টির মধ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনে ক্যালোরি যা চর্বি জমতে সাহায্য করে।মিষ্টির মধ্যে অধিক পরিমানে দেখা যায় চিনি,গুড়া দুধ ও মাখন যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে তা মেটা বলিজমের মাধ্যমে পেটে চর্বি জমাতে পারে।অতিরিক্ত চর্বি শরীরের জন্য যেমন ক্ষতি কর ঠিক তেমনি দেখতে ও ভালো দেখায় না।

মিষ্টি-জাতীয়-খাবার-খাওয়ার-ফলে-চর্বি

সব সময় যেনো পেট ফুলে থাকে এবং পেটের উপর দিয়ে ভুরি বেড়িয়ে থাকে।এই চর্বি বিশেষ করে যদি শারীরিক কার্যকলাপ কম থাকে। তাহলে শরীরে ওজনের প্রভাব বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যর ক্ষতি হতে পারে।যেমন ডায়াবেটিস, হিদরোগ ইত্যাদি।শরীর ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন উৎযাপন করার জন্য পরিমান মত মিষ্টি খাওয়া এবং ব্যায়াম,দোড়ানো,সাঁতার কাটা ও শারীরিক পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ। 

ফলমূলঃআপনারা অনেক ফল ই খেয়ে থাকেন তার মধ্যে আপেল,কমলা,কলা এগুলো মিষ্টি জাতীয় এবং চিনি ও ফাইবার প্রচুর পরিমানে থাকে।এগুলো শরীরে শক্তি সঞ্চয় করেন এবং চর্বি জমতে বাঁধা দেয়।তাই আপনারা ফলমূল খাবার সময় যাচাত বাচাই করে খাবেন।তাহলে চর্বি জমার কোনো আকাঙ্কা থাকবে না।

ডার্ক চকোলেটঃঅনেক চকোলেট রয়েছে যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও ফাইবার মিশানো থাকে।যেমন ডার্ক চকোলোট এর মধ্যে ৭০% কোকো কন্টেন্টযুক্ত থাকে।স্বাস্থ্যকর হিসেবে মাঝে মধ্যে ডার্ক চকোলেট খাওয়া যেতে পারে। কারন এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।যার ফলে ক্ষুধার প্রবণতা কমিয়ে নিয়ে আসে।

গ্রীক দই ও মধুঃদইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে।যা বাহিরের বা ঘরের অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত রাখে।মধুর মধ্যে রয়েছে অধিক মানের প্রাকৃতিক চিনি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি খাওয়ার উপায় মিতব্যয়িত ভাবে।

উপসংহার

চর্বি কমাতে যে সকল নিয়ম প্রয়োজনীয়।চর্বি কমাতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়ে ইতো মধ্যে আলোচনা করেছি।আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান তাহলে সকল বিষয়বস্তু ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।পেটের চর্বি কমাতে ব্যায়াম এবং সকালে খালি পেটে দোড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আমাদের পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্যাক ধন্যবাদ।আপনি যদি এই ধরনের পরামর্শ প্রতিনিয়ত আরো পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট পেইজটি ফলো করে রাখবেন।কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইট পেইজে এই ধরনের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য মূলক আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করে থাকি।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url