বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল বিস্তারিত সম্পর্কে
বাংলা আর্টিকেল লেখার কিছু সহজ নিয়ম এবং কৌশল গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। যে নিয়মগুলো অনুসরণ করে লিখলে লেখার মান ও গঠন বাড়বে।পাঠকদের সামনে সাজানো গোছানো ভাবে উপস্থাপন করা জাবে।রআমি আজ আপনাদের লেখার কিছু সহজ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।পোস্ট টি সম্পূর্ণ পরলে আসা করি আপনার আর্টিকেল লেখায় কোনো সমস্যা থাকলে তা আর থাকবে না, তাই ধৈর্য ধরে সম্পূর্ন পোস্ট টি পড়বেন।
সূচিপত্রঃ
- সূচিপত্র লেখার নিয়ম ।
- বাংলা আর্টিকেল কি এবং এর কাজ কি।
- টাইটেল লেখার নিয়ম ।
- আর্টিকেল এর শিরোনাম নির্বাচন ।
- আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন ।
- সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ।
- কন্টেন্ট মার্কেটিং বা এসইও (seo) রাইটিং ।
- আর্টিকেল কিভাবে লিখলে কপিরাইট হবে না ।
- অ্যাডমিনের পরামর্শ ।
সূচিপত্র লেখার নিয়ম:
কোনো আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগে সূচিপত্র দেখলেই বোঝা যায় আর্টিকেলের মাঝ খানে কি কি বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।আর্টিকেলের মধ্যে যে বিষয়টি আপনার প্রয়োজনীয় সেটি আপনি সূচিপত্রের মধ্যে খুজে পাবেন।সূচিপত্রের উক্ত বর্ণিত আপনি যে বিষয়বস্তু টি খুচ্ছেন সেটি পেয়ে জাবেন এবং সেখানে ক্লিক করলে আপনাকে সেই বিষয়বস্তুর কাছে নিয়ে জাবেন।
পেইজ সূচিপত্র আর্টিকেল লেখার উপায় আলোচনা করা হলো:
১.যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন তার কিছু সারাংশ কিওয়ার্ড সূচিপত্রের আন্ডারে থাকবে
২.পেজ সূচিপত্রের আর্টিকেল সেই সারাংশ কিওয়ার্ডকে নাম্বার লিস্টিং করতে হবে।
৩.নাম্বার লিস্টিং করার পর কি-বোর্ড এর ট্যাপ চাপ দিলে সূচিপত্রের প্রকারভেদ অনুযায়ী লিস্টিং শুরু হবে।
৪.সূচিপত্র প্রকারভেদ অনুযায়ী তৈরি করতে হবে।
বাংলা আর্টিকেল কি এবং এর কাজ কি
বাংলা আর্টিকেল হলো এমন একটি বাক্য,বন্ধন ও নিবন্ধন যা আমাদের মধ্যে থাকা জ্ঞান পরিকল্পনা এবং নতুন কিছু তৈরি করা।আমাদের মাতৃভাষা বাংলা।শুদ্ধ ভাবে কথা বলার জন্য আমরা ব্যাকরণ এর সাহায্য নিয়ে থাকি।আর্টিকেল হলো নিজের মধ্যে থাকা নতুন কোনো কিছু নিয়ে পরিকল্পনা করা এবং সেই বিষয়বস্তুটি পাঠকদের মাঝে খুব সহজ এবং সরল ভাবে উপস্থাপন করা।
আর্টিকেল হলো যে কোনো সমস্যার সমাধান ক্ষেত্রে পাঠকদের প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা।আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে পাঠকদের মাঝে অজানা তথ্য ও বার্তা উপস্থাপন করা যায় যা দ্বারা আমাদের আর্টিকেল পড়ে পাঠকদের উপকৃত হয়ে থাকে।
টাইটেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার মধ্যে টাইটেল এবং শিরোনাম একই জিনিস।আর্টিকেল লেখার মধ্যে টাইটেল অধিক না হয়ে ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে লিখতে হয়।কারন কিছু আর্টিকেল পরেই যেনো বুঝতে পারে কি বিষয়বস্তু থাকছে।প্রতি ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই শুধু আর্টিকেল টাইলেট পরে কন্টেন্ট না করেই অন্য কোনো ওয়েবাসাইটে চলে যায়।কারন আর্টিকেল লেখার কন্টেন্ট পছন্দ হয়না।
তাই সকলের পছন্দের কন্টেন্ট তৈরির জন্য টাইটেল এ অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার না করে অল্প কিছু আর্টিকেল লিখতে হবে যেনো পাঠকরা বিরক্ত না হয় এবং সেই কন্টেন্ট পরে সকল বিষয়বস্তু বুঝতে পারেন।পাঠক যখন অল্প আর্টিকেল টাইটেল পরে সকল বিষয়বস্তু বুঝতে সক্ষম হবেন তখন সে সম্পূর্ণ পোস্ট টি শেষ করবেন।টাইটেল লেখার পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:
১.পোস্টের টাইটেল অধিক না হয়ে ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
২.আর্টিকেল এর টাইটেল লেখার মাঝে ১ থেকে ২ টা ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।অধিক বেশি রাখা জাবে না।
৩.(?,!,|ছারা) অতিরিক্ত স্পেশাল ক্যারেক্টার রাখা জাবে না।
৪.যে কোনো ২ টি ফোকাস কিওয়ার্ডের মাঝ খানে হাইফেন(-)ব্যবহার করা জাবে।
আর্টিকেল এর শিরোনাম নির্বাচন
আর্টিকেল এর টাইটেল শিরোনাম টি নির্দিষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।পাঠকদের দৃষ্টি আর্কষন করতে সংক্ষিপ্ত ভাবে শিরোনাম তৈরি করতে পারেন।তাই শিরোনামটি সুনির্দিষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত।
ভুমিকা
আপনার বিষয়বস্তু টি সংক্ষেপে উপস্থাপন করুন।শিরোনাম সংক্ষিপ্ত হলে পাঠকদের পড়তে এবং বুঝতে সুবিধা হবে ও বাকি অংশ পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।এটি এমন ভাবে উপস্থাপন করুন যাতে পাঠকদের প্রথম দৃষ্টিতেই বুঝতে পারে আপনি কি কি বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন।
মুল বিষয়
আর্টিকেল লেখার মূল বিষয়বস্তুটির বিস্তারিত বিশ্লেষন করবেন। এটি প্যারাগ্রাফ আকারে সাজিয়ে লিখলে পাঠকদের পড়তে এবং বুঝতে সুবিধা হবে।প্রত্যেকটি প্রারাগ্রাফ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আলাদা করে সাজিয়ে লিখুন এবং নির্দিষ্ট ধারণা আলোচনা করুন।শিরোনামের মধ্যে যুক্তিক উদাহরণ থাকতে হবে।
কঠিন ও জটিল শব্দ ব্যবহার না করে সহজ ভাষা ব্যবহার করুন।
এক প্যারাগ্রাফ থেকে অন্য আরেকটা প্যারাগ্রাফে যাওয়ার সময় উপযুক্ত সংযোগ ব্যবহার করুন।
ভাষাগত দিক
বাংলা ভাষা শুদ্ধ ভাবে জানতে এবং বলতে ব্যাকরণ অনুসরণ করুন।বানান এবং বাক্য গঠন ঠিক রাখতে ব্যাকরণ বিশ্লেষণ করে যেনে নিতে পারেন।আর্টিকেল লেখার শেষে দারি (।) ব্যবহার করুন।বাক্যগুলোকে সংক্ষিপ্ত এবং পরিষ্কার রাখুন।
আর্টিকেল এর শিরোনাম পর্যালোচনা
আর্টিকেল লেখা শেষ হলে,তা পুনরায় আবার পড়ুন।বানান,বাক্য ও শব্দ পরীক্ষা করুন।যেকোনো অপ্রয়োজনীয় শব্দ ত্যাগ করুন এবং প্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করুন।
আর্টিকেল সম্পূর্ণতা
আর্টিকেল এর শিরোনাম যেনো একটি সুনির্দিষ্ট দৃষ্টি কোণ দেয়,তা নিশ্চিত করুন।আর্টিকেল লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাচাই করুন এবং সকল শব্দ ও বানান সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করুন।
আর্টিকেল লেখার এই নিয়মগুলো ফলো করলে আশা করি আকর্ষনীয় এবং প্রভাবশালি হবে।
আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন
আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা সম্ভব।বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো:
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ:আর্টিকেল লিখে অনলাইনে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে (যেমন upword Fiverr,Freelancer) এবং বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে আপনি আয় করতে পারেন।এই প্লাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট, ওয়েবসাইট পেইজ এবং ব্লাগের কন্টেন্ট লিখে আপনি খুব সহজেই পার্ট টাইম হিসাবে ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগার
নিজের ব্লগার শুরু করে সেখানে প্রতিদিন আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে পারেন।এরপর গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পোস্টের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।এটি সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ভালো আয় হতে পারে।ইন্টারনেট এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত ইন্টারনেট প্রচলিত থাকবে ঠিক ততদিন পর্যন্ত আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতেও আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা সম্ভব কিন্তু তার আগে আমাদের আর্টিকেল লেখার সকল বিষয়বস্তু জানতে হবে।বর্তমান যুগে মিডিয়াতেও আর্টিকেল রাইটিং এর চাহিদা রয়েছে। আপনি জদি আর্টিকেল কন্টেন্ট লেখার কৌশল সম্পর্কে যেনে থাকেন তবে এখান থেকেও অল্প সময়ে নির্দিষ্ট কোনো স্থান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
কন্টেন্ট মার্কেটিং বা এসইও (seo) রাইটিং
অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য এসইও (seo)ফ্রেন্ডলি বা আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট চায়।এসইও (seo) এর মাধ্যমে আপনি যদি রাইটিং বা কন্টেন্ট লিখতে জানেন তাহলে আপনিও আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন।কারন এসইও (seo)রাইটিং কন্টেন্ট এর চাহিদা অনেক বেশি।
এসইও(seo)এমন একটি শব্দ যা গুগলে সার্চ ব অন্য কোনো সাইটের অনুসন্ধান করার সময় টাইপ করতে হয় এসইও SEO(Search Engine Optimization) কিওয়ার্ডগুলো এমন শব্দ বা phrases হতে পারে। আপনি চাইছেন যে সেই আর্টিকেল কন্টেন্টি সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক পাবে।
আর্টিকেল কিভাবে লিখলে কপিরাইট হবে না
আর্টিকেল কপিরাইট থেকে বিরত থাকতে, আর্টিকেল লেখার কিছু বিষয় মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ :
অন্যর প্রতি হিংসা না করে কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন:আপনি যদি অন্যর আর্টিকেল থেকে কোনো কন্টেন্ট নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কন্টেন্ট টি সঠিক ভাবে উল্লেখ করুন।আর্টিকেল লেখার সময় অন্যর অ্যাকাউন্ট থেকে কন্টেন্ট বা ছবি কপি করা থেকে বিরত থাকবেন।তবেই ওয়েবসাইট কপিরাইট থেকে মুক্ত করতে পারেন।
অরিজিনাল কন্টেন্ট তৈরি করুন:নিজিস্ব চিন্তা ভাবনা পরিকল্পনা থেকে নতুন করে কন্টেন্ট প্রকাশ করার চেষ্টা করুন।অন্যর কন্টেন্ট কপি না করে নতুন কিছু তৈরি করুন।
রিসার্চ করুন:আর্টিকেল কন্টেন্ট অনুসরণ কপি না করে নতুন কিছু রিসার্চ করুন।এটি কপিরাইট থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করবে।
কপিরাইট ফ্রি ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করুন:ওয়েবসাইট এর মাঝে যদি ছবি,ভিডিও এবং অডিং করতে চান,তাহলে নিশ্চিত করুন এটি কপিরাইট মুক্ত বা পাবলিক ডোমেইন থেকে নেওয়া হয়েছে অথবা ক্রিয়েটিভ লাইসেন্স মুক ফিলটার ব্যবহার করু।
লুকাস৩৬৫ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url